রুমা পাল, শিবাশিস মৌলিক, পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) আসা নিয়ে এখনও কাটছে না জট। শনিবার রাতের মধ্যে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে, অ্যাকশন নেওয়ার কথা বললেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, এখনও সিদ্ধান্তই নিয়ে উঠতে পারল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কবে এসে পৌঁছবে, এখনও ধোঁয়াশা। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী আদৌ আসবে? প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। 


রাজ্যে কবে আসবে বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী? কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে? শনিবার রাত পর্যন্তও জানাতে পারল না নির্বাচন কমিশন! কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকের পরও এখনও অধরা সিদ্ধান্ত।


সূত্রের খবর, ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে, এখনও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য় নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। রাজ্যে এসে পৌঁছলেও, কত কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় যাবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে ভিন রাজ্যেই। যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন জেলায় রুটমার্চ করছে, তা আগের চাওয়া ২২ কোম্পানির জওয়ানই।  


কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনের সঙ্গে পরপর ২ দিন বৈঠক হয়েছে বিএসএফের কলকাতা সেক্টরের আইজি এস সি বুডাকোটির। তার পরও কাটেনি ধোঁয়াশা। 


প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে পরিকল্পনাহীন কমিশন? রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য় বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী আদৌ আসছে? আসলেও কবে? এই প্রশ্নের উত্তরও আপাতত অধরাই।


অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রোড শো তে মাত্র ৪টি গাড়ি নেওয়া যাবে, করা যাবে না বাইক ‍র‍্যালি। জেলা পরিষদের প্রার্থীরা চার চাকা গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন, কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীরা দু চাকা বা তিন চাকার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। সবক্ষেত্রেই গাড়ির নম্বর রিটার্নিং অফিসারকে আগে থেকে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।                            


আরও পড়ুন: Personality Facts: মানুষ হিসেবে আপনি কেমন? বসার ভঙ্গিই বলে দেবে সেই উত্তর!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


রাজনৈতিক দলগুলির জন্য কমিশনের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হলেও, এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।