উজ্জ্বল  মুখোপাধ্যায়, শিবাশিস মৌলিক ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা
: বিধানসভায় (Assembly) আজ এক ফ্রেমে ধরা পড়লেন দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। হাসি মুখে সৌজন্য বিনিময়ও হল ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) ও ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার (Saokat Molla)। একে অপরকে দাদা-ভাই বলে সম্বোধন করলেও, চলল কটাক্ষও! 


কী হল?
হাসি মুখে কথা হল!! বিনিময় হল সৌজন্যও!! সোমবার বিধানসভায় এক ফ্রেমে ধরা দিলেন দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী, আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি এবং ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সওকত মোল্লা। সওকত বললেন, 'ভালই তো। আমরা সকলে বিধায়ক। আমরা একে অন্যের কলিগও। এতে অসুবিধা কোথায়?' সওকত মোল্লাকে আবার দাদা বলে সম্বোধন করলেন নৌশাদ! বললেন, 'আমিও বিধায়ক। তবে উনি সিনিয়র, দাদা। আমার থেকে বেশি সময় উনি বিধায়ক। আশা করব, উনি আমাকে গাইড করবেন।' নৌশাদকে পাল্টা ভাই বলে সম্বোধন করেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না সওকত মোল্লা। তাঁর মন্তব্য, 'আমার ছোট ভাই নৌশাদকে বলব যে, ভাঙড়ে একটু কম গণ্ডগোল হোক।' বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেন, 'ভাল। সব বিধায়ককে শান্তি ফেরাতে এগিয়ে আসতে হবে।' তবে বেলায় বিধানসভায় এই ছবি দেখা গেলেও, এদিন সকালেও নিরাপত্তা নিয়ে একে অপরকে নিশানা করতে ছাড়েননি দুজনে!!! 


কী নিয়ে তর্ক?
ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ বলেন, 'সওকত মোল্লাকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।' পাল্টা ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়কের মুখে শোনা যায়, 'ওঁর কো কেন্দ্রের সঙ্গে এমনিই যোগাযোগ আছে। এটা সারা বাংলার মানুষ জানেন।' এই প্রেক্ষাপটে এদিন প্রথমে বিধানসভায় আসেন সওকত মোল্লা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যাওয়ার পর, সেখানে পৌঁছন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক। তখনই ফের চলে আসেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। বিধানসভার সিঁড়ির কাছে মুখোমুখি হয়ে যান দু'জনে। এক ফ্রেমে দুই বিধায়কের ছবি ভাঙড়ে গণ্ডগোলের স্মৃতি মনে করিয়েছিল। তখনই নৌশাদ বলেন, 'গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। শুধু আমার ছোট ভাই, নৌশাদ ভাইকে বলব যে ভাঙড়ে গণ্ডগোলটা কম করতে।' পাল্টা নৌশাদ বলেন, 'বড় দাদাই জানে, বাইরে থেকে কোথায় কে লোক নিয়ে আসছে না নিয়ে আসছে, ইনি আমার থেকে ভাল জানবেন। এনার হাতে পুলিশ তেকে শুরু করে সব আছে। বড় দাদা যদি ইচ্ছা করে তাহলে ছোট ভাইকে গাইড করিয়ে যাতে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা পরিষদে যাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন...।'অবশ্য এক ফ্রেমে সৌজন্য বজায় থাকলেও, আলাদা হতেই ভাঙড়ে অশান্তি নিয়ে ফের একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দুই নেতা।


আরও পড়ুন:উলুবেড়িয়া ১ নম্বরের বিডিও-র বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে