সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: আইএসএফ-তৃণমূল (ISF TMC Clash) সংঘর্ষে উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোনা (Chandrakona)। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পতাকা লাগানোকে (Flag) ঘিরে সংঘর্ষ বাধে। তাতে বেশ কয়েকজন জখম হন। এর আগে এক ছবি দেখা গিয়েছিল ভাঙড়ে।


কী জানা গেল?
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুরে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফ ও সিপিএম কর্মীদের সংঘর্ষ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। তাতে আহত হন ৩ তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের অভিযোগ, পতাকা লাগানোর সময় তাঁদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় আইএসএফ ও সিপিএম কর্মীরা। ঘটনাটিতে আইএসএফ ও বামেদের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। ভাঙড়ের ঘটনায় আবার উল্টো ছবি উঠে এসেছে বলে অভিযোগ।


ভাঙড়ে উত্তেজনা...
এর আগে ভাঙড়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার পথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আক্রান্ত হন তৃণমূল প্রার্থী-সহ ২ জন। সেখানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ৬ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জখম ইব্রাহিম মোল্লা চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫৩ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গী তৃণমূল নেতা ওহিদুল মোল্লাও জখম হন। রাতে ঘটনাস্থলে যান ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ও ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম-সহ দলীয় নেতৃত্ব। যদিও আইএসএফের দাবি, এলাকায় সংগঠন দুর্বল জেনে মিথ্যা দোষারোপ করছে শাসকদল। ঘটনা হল, এবার পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব জুড়ে শিরোনামে এসেছে একাধিক অশান্তির ঘটনা। মেরেকেটে আর কয়েকদিন বাদেই ভোট। এখনও থামছে না হিংসা। এদিনই যেমন, বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলমুড়ি গ্রামে প্রচারে জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী তীর্থ ভট্টাচার্য। দলবল নিয়ে তাঁকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সুনীল বাগদী, অভিযোগ এমনই। বিজেপি প্রার্থী গ্রামে ঢুকলে ঝামেলা হবে বলে জানান তৃণমূল নেতা। দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। বিজেপি কর্মীরা লিফলেট বিলি করতে গেলে তা ছিঁড়ে দেওয়ার হুমকি দেন তৃণমূল নেতা, এমনই অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। আবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হিংসার অভিযোগ তেতে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা। এবার তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, গতকাল তৃণমূল কর্মী শম্ভু সাউকে মারধর করেন পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী মহেশলাল প্রজাপতি ও তাঁর দলবল। আহত তৃণমূল কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। হামলা-যোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী। এর আগে শুক্রবার প্রচারের সময় এই বিজেপি প্রার্থীকেই মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল।


আরও পড়ুন:সকন্যা তিহাড়ে অনুব্রত, খাঁ খাঁ করছে বাড়ি-কার্যালয়, বীরভূমে বৈতরণী পার হবে তৃণমূলের!