অনির্বাণ বিশ্বাস, রাজা চট্টোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ বাগচী, জলপাইগুড়ি: চা বলয়ের মন জিততে জনসংযোগের হাতিয়ার- দু'টি পাতা একটি কুঁড়ি? বাগানে চা পাতা তুললেন, দোকানে চা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অভাব-অভিযোগ শুনলেন শ্রমিকদের।
আর সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নালিশ জানালেন চা শ্রমিকরা। তাঁরা বলেন, ভোট মিটলেই নেতারা সব ভুলে যান। ভোটের পর রাস্তা সারানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস শুনে অভিযোগ করলেন চা বাগানের শ্রমিকরা। যা করেছি, আমরাই করেছি, আর কেউ করেনি - অভিযোগ অস্বীকার করে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার।
এরপর চালসায় জনসংযোগে বেরিয়ে চা দোকানে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী বানালেন চা, খাওয়ালেনও সকলকে। তাছাড়া, বুধবার সকালে, জলপাইগুড়ির চালসার হোটেল থেকে বেরিয়ে আইভিল চা বাগানে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা হয় স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে। পরে আইভিল বাগানে চা পাতা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক যে ছবি দেখা গিয়েছিল গত ডিসেম্বরে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে অভাব-অভিযোগ তুলে ধরেন চা-শ্রমিকরা। সেই সময় মমতা বলেছিলেন, বিজেপি সরকার ছোট ছোট বাগানগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা আজ বৈঠকে বসছি। এদিন তিনি বলেন, 'এখন ভোটের আগে কিছু বলতে পারছি না। এখন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু আছে। সব হবে। আমি তো আসা-যাওয়া করি।'
আরও পড়ুন, 'কামারের ঘা যেদিন মারব সিধে হয়ে যাবে', ফের বেলাগাম দিলীপ
তবে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'ঠিক কথাই বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো উত্তরবঙ্গকে ঘৃণা করেন। আমার অনুরোধে রোটারি ক্লাব সেখানে পেসেন্টদেরকে কাপড় দিয়েছে, ফল দিয়েছে। আজকে একটি NGO এক হাজার মশারি দিয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কালকে নেচেছেন'।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জলপাইগুড়িতে বহু ব্যক্তিগত চা বাগান বন্ধ। কাজ হারিয়েছেন ১০ লক্ষ শ্রমিক। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে 'চায় পে চর্চা' শুরু করেন নরেন্দ্র মোদি। ২৪-এর মহাযুদ্ধের আগে ফের চর্চায় চা শ্রমিকরা।