কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) জোর প্রচার চলছে বর্ধমানে। কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)-দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) তরজা এবং প্রচারযুদ্ধে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। বর্ধমানে জনসংযোগে নেমে তৃণমূলকে নিশানা করে ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। উত্তরবঙ্গে বিজেপির ঝড়' মন্তব্য নিয়ে আগেই শুরু হয়েছিল তোলপাড়।এবার আরও এক বেলাগাম মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁর মন্তব্য, 'ঝড় হলেই টিএমসির পোয়াবারো'। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ফের শুরু হয়েছিল শোরগোল।                                                                                       


তিনি বলেন, 'দাদাগিরি এখনও শুরু করিনি। ওরা ঠুকঠুক করছে, কামারের ঘা দেখেনি, যেদিন মারব সিধে হয়ে যাবে।' পাশাপাশি, নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় তৃণমূল কর্মী খুনে সিপিএমের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কোনও দুষ্কৃতী আর অন্য কোনও দলে নেই। সব দুষ্কৃতী এখন তৃণমূলে।' বিজেপি নেতা এও বলেন, 'দাওয়াই দিচ্ছে CBI-ED। ভোটের আগে, ভোটের পরে অনেকে ওখানে গিয়ে থাকবেন, বাড়ির ভাত খেতে হবে না।'


এদিকে, কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। দিলীপ ঘোষ আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশে আরও বলা হয়েছিল যে, ভবিষ্যতে জনগণের সামনে কোনও বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষকে আরও সতর্ক হতে হবে। যদিও এরপর কমিশনকেই 'মেসোমশাই' বলে কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ।


আরও পড়ুন, উত্তরবঙ্গে প্রচারযুদ্ধ, কোচবিহারের ময়দানে সভা মোদির, মাথাভাঙায় মমতা


অন্যদিকে, দুর্গাপুর শহরে প্রচার করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে নিয়ে হুডখোলা গাড়িতে চড়ে ঘুরলেন দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায়। শোভাপুরে হরি মন্দিরে পুজোও দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী।


এরপর দিলীপ ঘোষকে নিশানাও করেন তৃণমূল প্রার্থী। কীর্তি আজাদ বলেন, 'দিলীপ ঘোষ আগে জবাব দিন, গত ৫ বছরে ওঁর দলের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং অহলুওয়ালিয়া। মন্তেশ্বরে রেল প্রকল্প বা, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা নিয়ে বিজেপি কী করেছে। আমার লক্ষ্য হল, দিদির লড়াইয়ে সামিল হয়ে মোদির পকেট ছিঁড়ে রাজ্যের বকেয়া টাকা আদায় করার।'