৫ মে তমলুক থেকে মনোনয়ন পেশ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন জমা ঘিরে তমলুকে তুলকালাম বাধে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তারপরই পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানি সম্ভাবনা ছিল মঙ্গলবার।
কিন্তু তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা ছাড়লেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। তমলুক থানায় দায়ের হওয়া FIR চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলা থেকেই সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
মনোনয়ন পেশের দিন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহিলার ওপর হামলায় প্রত্যক্ষ প্ররোচনা, তৃণমূলের শিক্ষক সমিতির সদস্যদের চাকরি বাতিল করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তারপরই তমলুক থানায় বিজেপি প্রার্থী-সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, ভয় দেখানো, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সরে দাঁড়ানোয় মামলা এবার ফেরত যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে। নতুন এজলাস ঠিক করবেন প্রধান বিচারপতিই।
মনোনয়ন পেশের দিন কী ঘটেছিল
তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে সেইসময় তৃণমূলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে চাকরিহারাদের ধর্না-অবস্থান চলছিল। সেখানে রোড শো পৌঁছতেই শুরু হয় অশান্তি। বিজেপির দাবি, তাঁদের রোড শো সেখানে পৌঁছতেই তৃণমূলের মঞ্চ থেকে চোর স্লোগান দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করে বিজেপি। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তমলুক থানায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হামলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন তৃণমূলের শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম মোল্লা। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহিলার ওপর হামলায় প্রত্যক্ষ প্ররোচনা দেওয়ারও অভিযোগ করেন তৃণমূলের এই শিক্ষক নেতা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির সদস্যদের চাকরি বাতিল করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয় । এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপির যুব মোর্চার নেতা প্রশান্ত দাস-সহ বেশ কয়েকজনের নামে ৩০৭ অর্থাৎ খুনের চেষ্টা, ৩৫৪বি অর্থাৎ শ্লীলতাহানি, ৫০৬ অর্থাৎ ভয় দেখানো, অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেতমলুক থানার পুলিশ।