কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান:  "কড়া ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে রিগিং-ছাপ্পা হয়নি। তাই বর্ধমান দুর্গাপুরে বিজেপিই জিতবে। দিলীপ ঘোষ সামনে আছে।"  মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দাবি করলেন আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ। শান্তিপূর্ণ ভোট (Loksabha election 2024) হয়েছে। যা আগে বর্ধমানে কখনও হয়নি। তাই গাড়িতে হামলা করেছে তৃণমূল। অভিযোগ বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থীর (Durgapur-Burdwan BJP Candidate Dilip Ghosh)। রাজ্য় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।


সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিলীপ ঘোষ বলেন, ক্লান্তি কাদের হয় যাঁরা কখনও সখনও কাজ করেন। যাঁরা সব সময় কাজ করে তাঁদের কেন ক্লান্তি হবে? এটা আমাদের নর্মাল লাইফ। সকাল থেকে উঠে রাত অবধি দৌড়ানো। 


একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গতকাল তো সকাল থেকে পরিস্থিতি ভালোই ছিল। কিন্তু, বিকেলের দিকে আপনি বাধাপ্রাপ্ত হলেন। আপনার গাড়ি ভাঙচুর করা হল। এর উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, "এতো হওয়ারই ছিল। আসলে ওরা বুঝতে পারছে যে ভোট সব এদিকে চলে আসছে। ওরা মরিয়া চেষ্টা করেও একটা ভোট আটকাতে পারিনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে যা বর্ধমানে কোনওদিন হয়নি। তাই ওরা বুঝে গেল যে হার নিশ্চিত। এর জেরেই রাগ মেটাতে আমার গাড়ি ভাঙচুর করল। আর কিছু হয়নি। 


এপ্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন,  "সেন্ট্রাল ফোর্স তো বুথের মধ্যে ছিল। আর খুব ভালো ভাবে ভোট হতে সাহায্য করেছে। এর ফলে ছাপ্পা ভোট ও রিগিং হয়নি।  ভোট কোথাও আটকাতে পারেনি। কয়েকটি জায়গায় ইভিএম ডিস্টার্ব করছিল বলে ভোট বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু, ভোট আটকানো বা বুথ জ্যামের মতো ঘটনা কোথাও ঘটেনি। সব জায়গাতেই মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে।   আমি একাধিক জায়গায় গেছি সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হতে দেখেছি। কয়েকটি জায়গাতে আমাদের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সবটা দেখেও ভোট আটকায়নি। আর পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ তো যা করার তাই করেছে। আজকে আমার বাড়ির সামনে পুলিশের পাহারা রয়েছে কিন্তু, গতকাল ভোটের দিন ওদের চোখের সামনে তৃণমূলের লোকেরা গুণ্ডামি করলেও কিছুই বলেনি। পুলিশ যদি ঠিকঠাক নিজের কর্তব্য পালন করত তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। আর নির্বাচন কমিশনে গতকালের ঘটনাগুলি প্রসঙ্গে অভিযোগ জানিয়েছে। বাইরে থেকে পর্যবেক্ষকরা এসেছেন তাঁদেরও সব খুলে বলেছি। পরে যখন সন্ধ্যাবেলায় আমাদের বিজেপি এজেন্টদের বুথ থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না তাঁদের মারধর করা হচ্ছিল তখন পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। ফোর্সের লোকেরাও যথেষ্ঠ সাহায্য করেছেন। আমাদের শহরে বসবাসীকারী কিছু দলীয় কর্মী ও নেতা বুথে হাজির না হয়েই বাড়িতে বসে ফোনে মেসেজ করছিলেন। তাঁদের আমি বুথে গিয়ে দেখতে পারিনি। সেই জায়গায় গ্রামের কর্মী-সমর্থকা খুব ভালো কাজ করেছেন। তাই এই আসন থেকে জয়ী না হওয়ার কোনও কারণ নেই।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: টাকা দিয়ে পাওয়া চাকরি বেশিদিন বাঁচবে না, TMC নেতাদের কলার ধরে আদায় করুন : সুকান্ত