ইন্দৌর: ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলে কংগ্রেসে দলবদলের হাওয়া। শুভেন্দু অধিকারী সমেত একগুচ্ছ নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ শিবির বদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বীরভূমের অভিনেত্রী-সাংসদ শতাব্দী রায়ও জল্পনা বাড়িয়েছেন ফেসবুক ফ্যান পেজের পোস্টে যাতে তাঁকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকা হয় না বলে জানিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনায় ইন্ধন জুগিয়ে নয়াদিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন শতাব্দী। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শতাব্দীর সঙ্গে দেখা করে এখনও তিনি দলেই আছেন, নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছেন।
সামগ্রিক ভাবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে তৃণমূল কিছুটা বিজেপির চাপের মুখে পড়েছে বলে যে জল্পনা রয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটেই এবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করলেন, তাঁর কাছে ৪১ জন বিধায়কের তালিকা আছে, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সমর্থন করলেও বিজেপিতে যোগ দিতে আগ্রহী। ২০১১-য় রাজ্য়ে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ের পালাবদল ঘটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ বছর বাদে পালাবদলের পালাবদল ঘটিয়ে নবান্ন দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। দলের শীর্ষনেতা কৈলাস বলেছেন, আমার কাছে ৪১ বিধায়কের তালিকা রয়েছে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চান। আমি এই বিধায়কদের বিজেপিতে সামিল করালে মমতা সরকারের পতন হবে। কিন্তু আমরা দেখছি কাকে দলে নেওয়া যায়, কাকে নেওয়া হবে না। আমরা ঠিক করেছি, ওই বিধায়কদের মধ্যে যাঁদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল নয়, তাঁদের নেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গতকাল, বিজেপির হয়ে সক্রিয় ভূমিকায় নামা শোভন চট্টোপাধ্যায়ও বলেছেন, বিজেপিতে বেনোজল ঢোকা বন্ধ করতে হবে। তবেই তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দেওয়া যাবে।
পশ্চিমবঙ্গে হিংসার রাজনীতি চলছে, অনুপ্রবেশকারীরা বিজেপি ক্যাডারদের ওপর হামলা করছে বলেও অভিযোগ করেন কৈলাস। বলেন, ওরা ভাবছে, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আমরা ওদের চিহ্নিত করে ফেলব, ওরা আর বেআইনি কার্যকলাপ চালাতে পারবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধেও কৈলাসের অভিযোগ, তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচির কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। কৈলাস বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি-এনডিএ সরকার প্রথম দফার ভ্যাকসিন কর্মসূচির ব্যয় বহন করছে, কিন্তু মমতা দাবি করছেন, তাঁর সরকার রাজ্যে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে।