পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই জানানো হয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, কুয়ালামপুর বিমানবন্দরে এই ঘটনার সময় বিমানে উঠে পড়েছিলেন যাত্রী ও পাইলটরা। তাঁদেরকে বিমানের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। যাত্রীদের গন্তব্যে যাওয়ার বিকল্প বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)-র পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে যে, পিআইএ-এর একটি বিমান স্থানীয় আদালত ফিরিয়ে নিয়েছে। ইংল্যান্ডের আদালতে পিআইএ ও অন্য এক পক্ষের মধ্যে আইনি বিতর্ক বকেয়া রয়েছে। আবার এই বিষয়েই এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে মালয়েশিয়ার স্থানীয় আদালত ওই বিমান ফেরত নিয়েছে। যাত্রীদের দেখভাল করা হচ্ছে এবং তাঁদের যাত্রীর বিকল্প ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের সংগ্রহে মোট ১২ টি বোলিং ৭৭৭ বিমান রয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডেইলি টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই এই বিমানগুলি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে সময়ে সময়ে ড্রাই রান লিজে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় যে বিমান বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটিও লিজেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লিজের শর্ত অনুযায়ী অর্থ না চোকানোয় এই বিমানটি কুয়ালালামপুরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানের কাছ থেকে তাদের বকেয়া অর্থ চেয়ে নিয়েছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ সৌদি আরব। চিন থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি আরবের বকেয়া মিটিয়েছিল পাকিস্তানের ইমরান খানের সরকার।
পাকিস্তান চূড়ান্ত অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে খবর। জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্যে সেখানকার মানুষের সমস্যার খবরও ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে।