নয়াদিল্লি: বিনোদন জগতে তাঁকে ঘিরে নিত্যদিন বিতর্ক লেগেই থাকত। তাই রাজনীতিতে নাম লেখার পর থেকেই প্রমাদ গুনছিলেন অনেকে। সেই আবহেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকে (Rahul Gandhi) নিয়ে মুখ খুললেন হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপি-র প্রার্থী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। রাহুল পরিস্থিতির শিকার, উচ্চাভিলাষী মায়ের জন্যই আজ রাহুলের এই অবস্থা বলে মন্তব্য করলেন তিনি। কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্তদের দল বলেও আক্রমণ করলেন কঙ্গনা। (Kangana on Rahul)


একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন কঙ্গনা। 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র পর রাহুলের ভাবমূর্তিতে যে বদল এসেছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় কঙ্গনাকে। উত্তরে তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, উনি পরিস্থিতির শিকার। উচ্চাভিলাষী মায়ের সন্তান উনি, মায়ের উচ্চাভিলাষের শিকার উনি। ওঁর ব্যর্থতার কথা যত শুনি...আমার মনে হয়, জীবনে অন্য কিছু করতে পারতেন।"


এ প্রসঙ্গে 'থ্রি ইডিয়টস' ছবির উদাহরণও দেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, "থ্রি ইডিয়টস ছবিতে দেখেছি, শিশু নিজের পরিবারতন্ত্রেরই শিকার হয়। রাহুল গাঁধীও তেমনই শিকার হয়েছেন বলে মনে হয় আমার। উনি অভিনয় করতে পারতেন। ওঁর মা পৃথিবীর অন্যতম ধনী মহিলা। টাকা-পয়সার তো অভাব ছিল না! শুনতে পাই, একজনকে ভালবাসতেন রাহুল। বিয়েটা হয়নি। গোটাটাই আমার শোনা কথা আমি জানি না, রাহুল কেন বিয়ে করলেন না, কেন সংসার হল না, কোনও ক্ষেত্রেই সাফল্য কেন পাচ্ছেন না। ওঁকে বড্ড একা মনে হয় আমার।"


আরও পড়ুন: Manmohan Singh: ইতিহাস সদয় হবে আশা ছিল, ৯১ বছর বয়সে অবসর নিলেন, যে উত্তরাধিকার রেখে গেলেন মনমোহন


কঙ্গনার দাবি, রাহুল পারুন বা না পারুন, রাহুলের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় লাগাতার। উনি পারছেন না, কিন্তু সনিয়া গাঁধী তা বুঝতে চান না। জোর করে এসব করানো হয় রাহুলকে। কঙ্গনা জানান, ৬০ বছর বয়স হতে চলেছে রাহুলের। এখনও তরুণ বলে বার বার ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও এমন ছেলেমেয়েকে দেখেছেন তিনি, তাতে ভাল কিছু হয় না। বরং ওই সব ছেলেমেয়ে বরবাদ হয়ে গিয়েছেন। রাহুলেরও একই পরিস্থিতি। রাজনীতিতে রাহুলের কিছু হবে না, বহু আগেই অন্য রাস্তা খুঁজে নেওয়া উচিত ছিল বলে মত কঙ্গনার।


কঙ্গনার দাবি, মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার উপরও সনিয়া জোর খাটিয়েছেন, বাধ্য করেছেন রাজনীতিতে নামতে। রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা দু'জনই পরিস্থিতির শিকার বলে মত তাঁর। তিনি বলেন, "মায়ের এভাবে অত্যাচার করা উচিত নয় ওঁদের। আমি কোনও নেতা নই। প্রার্থী হয়েছি সবে। সোজা ভাষায় বলছি, ওঁদের সুখী হতে দিতে পারতেন ওঁদের মা। ওঁদের দু'জনের উপর অত্যাচার চলছে। দু'জনই নিজের জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন।" কঙ্গনার মতে, এখনও সময় আছে, অন্য রাস্তা দেখে নিতে পারেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা।