মাথাভাঙা: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার রাজ্য রাজনীতির 'যুদ্ধক্ষেত্র' কোচবিহার। দুপুরে সেখানে নির্বাচনী সভা করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিকেলে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির আগে মাথাভাঙায় নির্বাচনী সভা করলেন মমতা। সেখান থেকে বিজেপি-কে হটানোর ডাক দিলেন তিনি। তাঁর মুখ দেখে ভোট দেওয়ার কথা বললেন মমতা। (Lok Sabha Elections 2024)


লোকসভা নির্বাচনে জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়াকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এদিন তাঁর হয়েই প্রচার সারেন মমতা। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "হিরের টুকরো ছেলে আমাদের প্রার্থী। আমার মুখটা মনে করবেন আর ওঁকে ভোট দেবেন। দয়া করে দেবেন। দণ্ডবৎ জানিয়ে বললাম, ভোটটা দেবেন। মায়েদের প্রণাম জানিয়ে, সকলকে ভালবাসা জানিয়ে বললাম, ভোটটা দেবেন। ভোট দিয়ে বলবেন জয় বাংলা। দেশ বাঁচাও, বিজেপি হটাও।" বিজেপি ভোটবাক্সে চিপ লাগায়, তাই ভোটবাক্স পাহারা দিতে হবে বলেও জানান মমতা।


মাথাভাঙার সভা থেকে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, "কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে ভোট করাচ্ছে বিজেপি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে, 'বিজেপি-কে ভোট দাও, এজেন্সি থেকে মুক্তি পাও'। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে মাথানত করবেন না কেউ। ওদের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচনী আচরণ বিধি মানে না বিজেপি। ওটা ওদের নিজেদের ঘরবাড়ি। যার নির্বাচন, যার বিয়ে, তিনি নিজেই পুরোহিত। ওরা মারলেও দোষ নয়, গ্রেফতার করলেও দোষ নয়।"


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'শীতলকুচিতে মানুষ মেরে এখনও হাতের রক্ত মোছেনি', দেবাশিসকে প্রার্থী করায় BJP-কে আক্রমণ মমতার


এদিনও ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন মমতা। জানান, আবাস, রাস্তা, ১০০ দিনের কাজের টাকা জোর করে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজে, আবাস যোজনায়, সড়কেও বাংলা প্রথম ছিল। ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ির জন্য তালিকা পাঠিয়েছিল রাজ্য। সেখান থেকে ফোননম্বর নিয়ে বিজেপি-র কলসেন্টার থেকে ফোন করছে ভোটের আগে। কেন্দ্র টাকা না দিলেও, রাজ্য সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দিয়েছে রাজ্য।  তিন বছর ধরে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখে দিয়েছে বলে জানান মমতা। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধান বা আইন মানে না। ওদের একটাই নীতি, এক দেশ, এক দল।

যেদিন থেকে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে, সেদিন থেকে বাংলার উপর অত্যাচার চলছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বাংলা থেকে ৬ লক্ষ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে তৃণমূল নেতাদের হেনস্থা করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের আদর্শ পরিবেশ নয় বলে এদিন মন্তব্য করেন মমতা।