বেঙ্গালুরু: একদিনেই গোটা রাজ্যে ভোট মিটল কর্নাটকে। অশান্তির তেমন কোনও খবর নেই। দক্ষিণের এই রাজ্যে রয়েছে ২২৪ আসনের বিধানসভা। ১০ মে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটদান। সন্ধে ৬টায় শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর, মোটের উপর নির্বিঘ্নেই মিটেছে ভোটপ্রক্রিয়া।


শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এই বার রাজ্যে ভোটদানের হার ৬৫.৭০ শতাংশ। এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে, অর্থাৎ ২০১৮ সালের ভোটে ভোটদানের হার ছিল ৭২ শতাংশ। 


শুরুটা ধীরেই হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে ভোটকেন্দ্রে ভিড় জমতে দেখা যায়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কর্নাটকে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে চিকাবল্লাপুর জেলায়। ওই জেলায় ভোটদানের হার ৭৬.৬৪ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে বৃহৎ বেঙ্গালুরু দক্ষিণে। সেখানে ভোটদানের হার ৪৮.৬৩ শতাংশ। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বেঙ্গালুরু গ্রামীনে ভোট পড়েছে ৭৬.১০ শতাংশ। বাগালকোটে ভোট পড়েছে ৭০.০৪ শতাংশ। বেঙ্গালুরু-শহরে ভোটদানের হার অনেকটাই কম। ৫২,১৯ শতাংশ। বিকেলের পাঁচটা পর্যন্ত BBMP (Central) এবং BBMP (North)-এ ভোটদানের হার যথাক্রমে ৫০.১০ শতাংশ এবং ৫০.০২ শতাংশ। সকাল থেকেই এই এলাকাগুলিতে ভোটদানের হার বেশকিছুটা কম ছিল। BBMP (Central)-এ দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ২৯.৪১ শতাংশ। BBMP (North)-এর ক্ষেত্রে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ২৯.৯০ শতাংশ।


দুপুর ১টা পর্যন্ত BBMP (South)-এ ভোটদানের হার ছিল ৩০.৬৮ শতাংশ। বাগালকোটে সেই হার ছিল ৪০.৮৭ শতাংশ। বেঙ্গালুরু গ্রামীনে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৪০.১৬ শতাংশ, বেঙ্গালুরু নগরে ৩১.৫৪ শতাংশ, বেলগাঁও ৩৭.৪৮ শতাংশ, বেল্লারি ৩৯.৭৪ শতাংশ ছিল।


হেভিওয়েট ভোটার:
এদিন ভোটে একাধিক হেভিওয়েট ভোটার ছিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়া, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং ডিভি সদানন্দ গৌড়া। কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, জগদীশ শেট্টার। এখানে ভোট দিয়েছেন নারায়ণ মূর্তি এবং তাঁর স্ত্রী সুধা মূর্তি।  


ভোটের পরে কংগ্রেস ও বিজেপি দুই শিবিরই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ার দাবি, এবারেও বিজেপি বিপুল আসনে জিতে কর্নাটকের মসনদে বসবে। 


মোটের উপর নির্বিঘ্নেই মিটেছে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দু-একটা হিংসার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। এই বারের ভোটে একেবারে নবীন ভোটার ও প্রবীণ ভোটার দুই বয়সের লোকজনকেই দেখা গিয়েছে।


 


আরও পড়ুন: পার্ক না কি ট্রেডমিল? দৌড়নোর লাভ কোথায় বেশি? কোনটা বাছবেন?