নয়াদিল্লি : চব্বিশের ভোটের আগে বড় ধাক্কা বিজেপির (BJP)। কংগ্রেসের হাতেই কর্ণাটক (Karnataka)। বিজেপিকে ধরাশায়ী করে কর্ণাটকে বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস (Congress)। দক্ষিণের রাজ্যে ব্যর্থ হল নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ ম্যাজিক। আর ফলাফলের ধারা পরিষ্কার হওয়ার পর হার স্বীকার করে নিয়ে কর্ণাটকবাসীর পাশে থাকার বার্তা দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, 'বহু বছর ধরে সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের মানুষকে ধন্যবাদ', দক্ষিণের একমাত্র রাজ্য হাতছাড়া হওয়ার পর ট্যুইট অমিত শাহর। পাশাপাশি তাঁর বার্তা, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে কর্ণাটকের মানুষের জন্য কাজ করে যাবে বিজেপি।
কর্ণাটকের নির্বাচনে ২০১৮-র চেয়ে একধাক্কায় ৫৬টি আসন বাড়িয়ে ১৩৬টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। ৩৯টি আসন কমে বিজেপির ঝুলিতে ৬৫টি আসন। জেডিএসের প্রাপ্ত আসন ১৯, অন্যান্যরা পেয়েছে ৪টি আসন। কর্ণাটকের ভোটে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েটের হার। বিদায়ী স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী সহ ১১ জন মন্ত্রীর হার। যে ফলাফলের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসকে শুভেচ্ছাবার্তা দেন। আশা করি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে, ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর।
আসন সংখ্যার মতোই ভোট শতাংশেও বিজেপির থেকে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ, জেডিএস পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। যার পরই কাল সকালে বেঙ্গালুরুতে জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে ডাকা হল বৈঠক। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ভোটে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েটের হার। হার হয়েছে বিদায়ী স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ের। পরাজিত হয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু, শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশের। কংগ্রেসের কাছে হারলেন আইনমন্ত্রী জে সি মাদুস্বামী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর।
আরও পড়ুন- ‘লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির শেষের শুরু’ মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?