বেঙ্গালুরু: প্রায় সমীক্ষাতেই এগিয়ে রাখা হয়েছিল তাদের। গণনা শুরু হওয়ার পর তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। কর্নাটক বিধানসভার ২২৪ আসনে ভোটগণনা চলছে (Karnataka Election Results 2023)। তাতে সকাল ৯.৩০টা পর্যন্ত ১১৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত জয় ঘোষণা না হলেও, কংগ্রেসের জয়ের পক্ষেই ইঙ্গিত মিলছে। কারণ এগিয়ে থাকার নিরিখেই ইতিমধ্য়ে ম্যাজিক সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ১১৩ আসনই যথেষ্ট (Karnataka Election Results 2023)।
কর্নাটকের উপকূল অঞ্চলে একচেটিয়া আধিপত্য কংগ্রেসের
মধ্য কর্নাটকে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বেঙ্গালুরুতে বিজেপি-র সঙ্গে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। টুমকুর, বেলগামে এগিয়ে কংগ্রেস, মহীশূরে কড়া টক্কর। কর্নাটকের উপকূল অঞ্চলে একচেটিয়া আধিপত্য কংগ্রেসের। চন্নাপাটনা আসনে এগিয়ে কুমারস্বামী। কনকপুরা আসনে এগিয়ে ডি কে শিবকুমার।
ভোটের ফল অনুকুল হতে পারে আঁচ পেয়ে ইতিমধ্যেই উৎসবের আবহ কংগ্রেসে। কর্নাটকে তো বটেই, দিল্লিতেও চলছে হোম-যজ্ঞ। সূত্রের খবর, ভোটগণনা চলাকালীনই দলের প্রার্থীদের বেঙ্গালুরুতে আসতে বলে কংগ্রেস। ২০১৯-এর বিধায়ক হাতছাড়া হওয়ার পুনরাবৃত্তি আটকাতেই এই সতর্কতা বলে দলীয় সূত্রে খবর।
আজ কর্নাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনে ভোটগণনা। ৩৬টি গণনা কেন্দ্রে ২ হাজার ৬১৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। কর্নাটক বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের পাশাপাশি আজ ভাগ্য নির্ধারণ কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারের।
জেডিএস-এর এইচ ডি কুমারস্বামীর মতো হেভিওয়েটদেরও আজ ভাগ্য নির্ধারণ।
কর্নাটকে এবার ভোট পড়েছে ৭৩.১৯ শতাংশ
২০১৮-র রেকর্ড ভেঙে কর্নাটকে এবার ভোট পড়েছে ৭৩.১৯ শতাংশ। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দাক্ষিণাত্যের একমাত্র রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। নির্বাচনের আগে ১৯টি সভা ও ৬টি রোড শো করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রচারে নামেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারাও। লড়াইয়ে টক্কর দিতে রাহুল, সনিয়া থেকে শুরু করে মল্লিকার্জুন খাড়গে, সকলেই প্রচার করেছেন কর্নাটকে।
আরও পড়ুন: Karnataka Election Results 2023 LIVE: চলছে গণনা, দলের সব বিধায়ককে বেঙ্গালুরু পৌঁছতে বলল কংগ্রেস
২০১৮-য় কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও সরকার গড়তে পারেনি। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে জেডিএস। মুখ্যমন্ত্রী হন এইচ ডি কুমারস্বামী। কিছুদিনের মধ্যেই পট পরিবর্তন। কংগ্রেস এবং জেডিএস-এর ১৭ জন বিধায়ক একসঙ্গে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন স্পিকার।
কংগ্রেস-জেডিএস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় সরকার গড়ে বিজেপি। বিধায়কদের এই বিদ্রোহের নেপথ্যে বিজেপির হাত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শেষপর্যন্ত কংগ্রেস-জেডিএসের বিদ্রোহী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিয়ে উপ নির্বাচনের লড়াইয়ে নামেন। উপনির্বাচনে ১৫টির মধ্যে ১২টি আসনেই জয়ী হয় বিজেপি।