মাইসুরু : প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী তড়তড়িয়ে এগোচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। কার্যত ম্যাজিক ফিগারে (Magic Figure) সিলমোহর পড়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে এখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল নিয়ে শুরু হয়ে গেছে দ্বৈরথ। তাঁর বাবা তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ারই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka CM) হওয়া উচিত। এমনই মন্তব্য করলেন সিদ্দারামাইয়া-পুত্র যতীন্দ্র সিদ্দারামাইয়া। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র বলেন, "আমরা বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যে কোনও কিছু করতে পারি। কর্ণাটকের স্বার্থে আমার বাবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।" 


ক্ষমতা বদলের পথে কর্ণাটক। ফলাফলে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস। কন্নড়ভূমে গদি হারানোর পথে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত ২২৪ আসনের বিধানসভায় ১১৮টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে ৭৫টি আসনে, কিং মেকার হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে জেডিএস। এখনও পর্যন্ত ২৫টি আসনে এগিয়ে কুমারস্বামীর জেডিএস। ভোট শতাংশেও বিজেপির থেকে এগিয়ে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৩৭ শতাংশ, জেডিএস পেয়েছে ৯ শতাংশ ভোট। এদিকে দল ভাঙানো রুখতে বাড়তি সতর্কতা কংগ্রেস শিবিরে। হেলিকপ্টারে জয়ী বিধায়কদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসা হবে। গরিষ্ঠতা পেলে আগামীকাল জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক। গরিষ্ঠতা না পেলে বিধায়কদের সরানো হবে গোপন আস্তানায়।


প্রসঙ্গত, ২০১৮-য় কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও সরকার গড়তে পারেনি। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে জেডিএস। মুখ্যমন্ত্রী হন এইচ ডি কুমারস্বামী। কিছুদিনের মধ্যেই পট পরিবর্তন হয়। কংগ্রেস ও জেডিএস-এর ১৭ জন বিধায়ক একসঙ্গে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন স্পিকার। কংগ্রেস-জেডিএস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় সরকার গড়ে বিজেপি। বিধায়কদের এই বিদ্রোহের নেপথ্যে বিজেপির হাত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শেষপর্যন্ত কংগ্রেস-জেডিএসের বিদ্রোহী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিয়ে উপ নির্বাচনের লড়াইয়ে নামেন। উপনির্বাচনে ১৫টির মধ্যে ১২টি আসনেই জয়ী হয় বিজেপি।


আজ কর্ণাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনে ভোটগণনা চলছে। ৩৬টি গণনা কেন্দ্রে ২ হাজার ৬১৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে। কর্ণাটক বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের পাশাপাশি আজ ভাগ্য নির্ধারণ কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া ও ডি কে শিবকুমারের। জেডিএস-এর এইচ ডি কুমারস্বামীর মতো হেভিওয়েটদেরও আজ ভাগ্য নির্ধারণ। ২০১৮-র রেকর্ড ভেঙে এবার ভোট পড়েছে ৭৩.১৯ শতাংশ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে দাক্ষিণাত্যের একমাত্র রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। নির্বাচনের আগে ১৯টি সভা ও ৬টি রোড শো করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। প্রচারে নামেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারাও। লড়াইয়ে টক্কর দিতে রাহুল, সনিয়া থেকে শুরু করে মল্লিকার্জুন খাড়গে, সকলেই প্রচার করেছেন কর্ণাটকে ।