কলকাতা : কর্ণাটকে (Karnataka) বিজেপির হার, কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। ‘ডবল ইঞ্জিন নয় ট্রাবল ইঞ্জিন সরকার, মানুষ বিজেপিকে (BJP) প্রত্যাখ্যান করা শুরু করে দিয়েছে। একুশে বাংলা যা করেছে, তেইশে কর্ণাটক তাই করল, চব্বিশে দেশ তাই করবে। তৃণমূলকে দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ করে বিজেপি। ৪০ শতাংশ কমিশন খেয়ে কর্ণাটকের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বাংলার মতো কর্ণাটকের মানুষও বিজেপিকে লেজে-গোবরে করেছে’, কর্ণাটকের রায় নিয়ে কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।


কর্ণাটকের নির্বাচনে ২০১৮-র চেয়ে একধাক্কায় ৫৬টি আসন বাড়িয়ে ১৩৬টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। ৩৯টি আসন কমে বিজেপির ঝুলিতে ৬৫টি আসন। জেডিএসের প্রাপ্ত আসন ১৯, অন্যান্যরা পেয়েছে ৪টি আসন। কর্ণাটকের ভোটে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েটের হার। বিদায়ী স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী সহ ১১ জন মন্ত্রীর হার।


প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে, নরেন্দ্র মোদির মুখে বারবার শোনা গেছে একটা শব্দবন্ধ। কংগ্রেসমুক্ত ভারত। দশ বছরে তাঁর সেই লক্ষ্য় পূরণ না হলও, শনিবার কর্ণাটকে হারের পর দক্ষিণ ভারতে ক্ষমতা থেকে পুরোপুরি বিজেপি মুক্ত হয়ে গেল। দক্ষিণের পাঁচটি রাজ্য় অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তামিলনা়ড়ু, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের মধ্য়ে একটিও আর বিজেপির হাতে রইল না। দক্ষিণের ক্ষমতার দরজা আপাতত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল বিজেপির কাছে।


২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরই কংগ্রেসমুক্ত ভারতের ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু প্রায় একদশক পর, শনিবার দক্ষিণ ভারত হয়ে গেল বিজেপিমুক্ত। কর্ণাটকে (Karnataka) হারের ফলে গোটা দক্ষিণ ভারত থেকেই পুরোপুরি মুছে গেল বিজেপি (BJP)। দক্ষিণের পাঁচ রাজ্য়ের একটিতেও ক্ষমতায় রইল না তারা। এদিকে, গোটা দেশে ক্ষমতার বিচারেও অর্ধেকে নেমে গেল বিজেপি। 


আরও পড়ুন- কংগ্রেসের কাছে কর্ণাটক খুইয়ে দক্ষিণ-ভারতের দরজা বন্ধ, দেশে 'অর্ধেক' হল বিজেপি



আসন সংখ্যার মতোই ভোট শতাংশেও বিজেপির থেকে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ, জেডিএস পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। যার পরই কাল সকালে বেঙ্গালুরুতে জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে ডাকা হল বৈঠক। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ভোটে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েটের হার। হার হয়েছে বিদায়ী স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ের। পরাজিত হয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু, শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশের। কংগ্রেসের কাছে হারলেন আইনমন্ত্রী জে সি মাদুস্বামী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর। 


 



আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?