চেন্নাই : কর্ণাটকে (Karnataka) কংগ্রেসের জয়ের পরই ২০২৪-এ একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিনের (MK Stalin)। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনের ট্যুইট, 'কর্ণাটকের এই রায় অনৈতিক ভাবে রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে অপব্যবহারের প্রতিবাদে এই রায়। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া এবং লাগামছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্ণাটকের এই রায়। এখন ২০২৪-এ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং সাংবিধানিক মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে এক হতে হবে'।


চব্বিশের লোকসভার আগে বিজেপির বড় ধাক্কার পর বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Chief Minister Mamata Banerjee)। একাধিক বিরোধী নেতার সঙ্গে আলোচনার পর বিজেপির বিরুদ্ধে যেখানে যারা শক্তিশালী তাঁদের লড়াইয়ের বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, 'বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। যেখানে যে শক্তিশালী, সেখানে সেই দল লড়ুক। বিজেপিকে রুখতে একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় এগোতে হবে’।


কর্ণাটকের নির্বাচনে ২০১৮-র চেয়ে একধাক্কায় ৫৬টি আসন বাড়িয়ে ১৩৬টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। ৩৯টি আসন কমে বিজেপির ঝুলিতে ৬৫টি আসন। জেডিএসের প্রাপ্ত আসন ১৯, অন্যান্যরা পেয়েছে ৪টি আসন। কর্ণাটকের ভোটে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েটের হার। বিদায়ী স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী সহ ১১ জন মন্ত্রীর হার।


প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে, নরেন্দ্র মোদির মুখে বারবার শোনা গেছে একটা শব্দবন্ধ। কংগ্রেসমুক্ত ভারত। দশ বছরে তাঁর সেই লক্ষ্য় পূরণ না হলও, শনিবার কর্ণাটকে হারের পর দক্ষিণ ভারতে ক্ষমতা থেকে পুরোপুরি বিজেপি মুক্ত হয়ে গেল। দক্ষিণের পাঁচটি রাজ্য় অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তামিলনা়ড়ু, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের মধ্য়ে একটিও আর বিজেপির হাতে রইল না। দক্ষিণের ক্ষমতার দরজা আপাতত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল বিজেপির কাছে।


আরও পড়ুন- কংগ্রেসের কাছে কর্ণাটক খুইয়ে দক্ষিণ-ভারতের দরজা বন্ধ, দেশে 'অর্ধেক' হল বিজেপি



আসন সংখ্যার মতোই ভোট শতাংশেও বিজেপির থেকে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ, জেডিএস পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। যার পরই কাল সকালে বেঙ্গালুরুতে জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে ডাকা হল বৈঠক। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ভোটে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েটের হার। হার হয়েছে বিদায়ী স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ের। পরাজিত হয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু, শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশের। কংগ্রেসের কাছে হারলেন আইনমন্ত্রী জে সি মাদুস্বামী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর। 


 



আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?