আমদাবাদ: লখনউ সুপার জায়ান্টসের (Lucknow Super Giants) বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad) হেনরিক ক্লাসেন ও আব্দুল সামাদের আগ্রাসী ইনিংসে ভর করে ১৮৩ রানের বড় লক্ষ্য সামনে রাখে। বড় তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিল লখনউ। তবে এক ওভারে পুরো খেলাটাই ঘুরে গেল।


এদিন লখনউ ওপেনার কায়াল মায়ার্স শুরু থেকেই রান করতে সমস্যায় পড়েন। প্রথম রান করতেই তাঁর ১১ বল লেগে যায়। শেষমেশ ২ রানে তাঁকে সাজঘরে ফিরিয়ে সানরাইজার্সকে প্রথম সাফল্য এনে দেন গ্লেন ফিলিপ্স। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩০ রান তোলে লখনউ। কুইন্টন ডিককও ব্যাট হাতে তেমন বড় রান করতে ব্যর্থ। ২৯ রান করেন তিনি। নিজামের শহরের ফ্রাঞ্চাইজির বোলারদের দাপটে একসময় কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল লখনউ। মার্কাস স্টোইনিস (Marcus Stoinis) ও প্রেরক মাঁকড় (Prerak Mankad) ক্রিজে টিকে থাকলেও কিছুতেই রানের গতি বাড়াতে পারছিলেন না।


তবে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরেন স্টোইনিস। প্রেরকও তাঁকে যোগ্য দেন। তবে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল সানরাইজার্স সম্পূর্ণভাবে ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। তখনই খেলা ঘুরে যায়। সানরাইজার্সের হয়ে ১৬তম ওভারে অভিষেক শর্মা বল করতে আসেন। এই ওভারে মার্কাস স্টোইনিসকে ৪০ রানে আউট করলেও, বাকি পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হজম করতে হয় তাঁকে। আউট হওয়ার আগে দুই বলে দুই ছয় মারেন স্টোইনিস ও নেমেই তিন ছক্কা হাঁকান নিকোলাস পুরান (Nicholas Pooran)। এরপর আর লখনউকে ঘুরে দেখতে হয়নি। শেষমেশ চার বল বাকি সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় লখনউ।


ম্যাচে নজর কাড়েন প্রেরক মাঁকড়ও। লখনউয়ের হয়ে এই প্রথমবার ব্যাট করার সুযোগ পান প্রেরক। আর প্রথম সুযোগেই নিজের দক্ষতার পরিচয় দিলেন। ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে পরিপক্কতার ছাপ খুবই স্পষ্ট ছিল। তবে লখনউয়ের হয়ে এদিন তফাৎ গড়ে দেন নিকোলাস পুরানই। তাঁর ব্যাটিং ঝড়েই কার্যত উড়ে গেল সানরাইজার্স। ১৩ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা কিপার-ব্যাটার। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে তিনি প্রমাণ করলেন কেন তাঁকে এত দাম দিয়েও দলে নিতে উৎসুক ছিল লখনউ। এই জয়ের ফলে লখনউয়ের পয়েন্ট সংখ্যা দাঁড়াল ১৩। সানরাইজার্সের পয়েন্ট আট। নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ জিতলেও মারক্রামদের প্লে-অফে পৌঁছতে বাকি দলগুলির ভরসায় থাকতে হবে। 


আরও পড়ুন: গরমে ব্রন নিয়ে জেরবার ? এই নিয়মগুলি মেনে চললে মিলবে মুক্তি