পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ভোটের প্রচার মধ্যগগনে। সকাল থেকে দিনভর প্রচার চালাচ্ছেন কলকাতা (Kolkata) পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। এমনিতে খুব একটা রেস্ট্রিকশন না থাকলেও, ভোটের ময়দানে ফিট থাকতে একটু মেপেই খাওয়াদাওয়া করছেন তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate)।
৭ মাস আগেই বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। এবার লড়াই পুরভোটের। বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কেই, কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Corporation Election) ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৫-র পুরভোটে এই ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন রত্নার স্বামী ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে শেষ কয়েকটা বছর তৃণমূলের হয়ে রত্নাই সামলেছেন ওয়ার্ডের কাজকর্ম।
বিধানসভা ভোটের পর এবার পুরভোটেও ঝড় তুলছেন প্রচারে। এমনিতে খাওয়াদাওয়ায় খুব একটা রেস্ট্রিকশন নেই তৃণমূল প্রার্থীর, তবে ভোটের ময়দানে নিজেকে ফিট রাখতে কিছুটা মেপেই খাচ্ছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খান মুসম্বির রস। ব্রেকফাস্টে (Breakfast) থাকে আটার রুটি। এদিন যেমন রুটির সঙ্গে ছিল ডিম তরকা। পুষ্টিবিদরা বলছেন, মুসম্বিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ, ভিটামিন-সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আটার রুটিতে থাকে কার্বোহাইড্রেট, যা শক্তির জোগান দেয়।
ব্রেকফাস্ট সেরেই প্রচারে (Campaign) বেরিয়ে পড়েন রত্না। বাড়িতেই করেন লাঞ্চ। মঙ্গল ও শনিবার বাদে সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন আমিষ খান ১৩১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি আমিষ খাই শনি ও মঙ্গলবার ছাড়া। এছাড়া হালকা খাবার খাই।’’ পুষ্টিবিদদের মতে, রত্নার দুপুরের মেনুতে যা যা ছিল তার মধ্যে, ভাতে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। ডাল জোগান দেয় ফাইবার ও প্রোটিনের। আয়রন, ভিটামিন সি-তে ভরপুর শাক। মুরগির মাংসে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। রাতে রুটি খেতেই পছন্দ করেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Weather Update: ফিরল শীতের আমেজ, কলকাতায় কুড়ির নিচে নামল পারদ