কলকাতা: আজ কলকাতা পুরভোট (KMC Municipality Election)। রবিবার ভোটের শুরুতেই সিসি ক্যামেরা (CCTV Camera) নিয়ে একের পর এক অভিযোগ। বেলেঘাটার স্কুলে ক্যামেরা ঢেকে দেওয়ার অভিযোগ। গড়গাছার বুথে (Garhgacha) কোনও ক্যামেরা নেই, অভিযোগ বিজেপি (BJP)-বামের (CPM)। 


বেলেঘাটায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে খন্না হাইস্কুলে বুথের সিসি ক্যামেরা (CCTV Camera) ঢেকে রাখার অভিযোগ বামেদের। নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) দাবি, সিসি ক্যামেরা স্কুলের, তাই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। 


পুরভোটের নিরাপত্তায় হাইকোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দীপেন্দ্রমণি ত্রিবেদীর অভিযোগ, তারাতলা সংলগ্ন গড়াগাছা এলাকার অধিকাংশ বুথেই নেই সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি প্রার্থীর। 


কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে আজ ভোটগ্রহণ। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কলকাতাজুড়ে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১৩৯টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। 


স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৮৬। এর মধ্যে চিনাপাড়া, পার্কস্ট্রিট, ধাপা ও লাগোয়া এলাকা নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর বরোয়, সবচেয়ে বেশি, ২৫০টি উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে বেহালা, তারাতলা-সহ আশেপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর বরোয়। সেখানে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা ২২।


উল্লেখ্য, রবিবার ভোট শুরুর আগেই ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে শিয়ালদায় টাকি বয়েজ স্কুলে উত্তেজনা। কংগ্রেস এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা, মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।  ভিডিও প্রকাশ করে কংগ্রেসের দাবি, বুথের বাইরে লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দৌড়ে ধাওয়া করেন কংগ্রেস প্রার্থী নন্দন ঘোষ। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। পরে লাঠি উঁচিয়ে জমায়েত হঠায় পুলিশ। প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের।