কলকাতা: প্রবল ক্ষোভ, তীব্র বিষোদ্গার। আড়ালে-আবডালে নয়, খোলাখুলি সংবাদমাধ্যমের সামনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই ঘটনার জেরেই দলের তরফে শোকজ-চিঠিও পান তিনি। এরই মধ্যে চায়ের আড্ডার আমন্ত্রণ। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন কুণাল ঘোষকে। সন্ধে সাতটার সময় সেই বাড়িতে যান কুণাল। সেই আড্ডায় কি ক্ষোভ মিটল?


বেরিয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh on Sudeep Banerjee) বলেন, 'পার্টি একটাই। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। পরিবারের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। কিছু ইস্যু ছিল। আজ দুপুরের পরে বিকেলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ফোন করেন। কিছু বিষয়ে আমাদের কথা হয়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় চা খাওয়ার আমন্ত্রণ করেন। সেই কারণেই আসা। সুদীপ দা, নয়না বৌদি ছিলেন, কথা হয়।' কী কথা হয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, 'ছোটখাট কিছু মেরামতি, আমাদের দরকার ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে আনা-সেরকম কিছু ইস্যু নিয়ে কথা হয়।'


আড্ডার সময় কী কী খাওয়া হয়েছে তারও সবিস্তার বিবরণ দিয়েছেন কুণাল। তিনি বললেন, 'নয়নাদি জানেন আমি নাড়ু খেতে ভালবাসি, তাই আলাদা একটি ট্রে-তে নাড়ু রেডি ছিল। ফিশফ্রাই ছিল, দুইরকম সন্দেশ ছিল, একটা ঘরোয়া চা চক্রে যেরকম থাকে।'


তাঁদের আড্ডায় যে তাপস রায়ের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সেটাও জানিয়েছেন কুণাল। তিনি বললেন, 'সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এটা বলেছেন যে তিনিও চাননি তাপস চলে যাক।' যদিও এই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু বলতে চাননি কুণাল ঘোষ।


কথা প্রসঙ্গে তাপস রায়ের (Tapas Roy Resigns) বিষয়টিও ফের তোলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'তাপসদার কাছে সকালে আমি আর ব্রাত্য বসু কিছু অনুরোধ করেছিলাম। তিনি যদি ইস্তফা দিয়েও থাকেন। যদি তাঁর মনে হয় কোনও সমস্যা হয়েছে। তিনি কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে নিন, বিশ্রামে থাকুন। দয়া করে কোনও বিপক্ষ দলে যোগদান করবেন না।'


এদিনের চা-আড্ডার বিষয়টি নিয়ে সকালে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি বলেছিলেন, 'আমরা একটা পরিবার। পরিবারে চেঁচামেচি হতে পারে। কেউ রেগে যেতে পারে। আবার একত্রিত হলে মিটে যায়। এই পরিবারকে ভাঙা অসম্ভব।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।