পটনা: কদিন আগেই পাশা উল্টেছে বিহারের মসনদে। নীতিশ কুমারের ডিগবাজির হাত ধরেই বিহারের শাসনে বসেছে জেডিইউ-বিজেপি জোট। শাসকের পদ খুইয়েছে লালু প্রসাদের আরজেডি। তারপর বিহারে পটনার মাটিতেই শক্তি প্রদর্শন করল লালুর (Lalu Yadav on PM Modi) দল। সমাবেশে উপচে পড়ল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়, আর মঞ্চে লালু প্রসাদ যাদব। সেখান থেকেই চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।


মতাদর্শগত ভাবে হিন্দু ভাবাবেগ বিজেপির মূলধন। ভোটের ময়দানে রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনও ইস্যু করছে পদ্মশিবির। ঠিক সেই আবহেই মোদির (Lalu Yadav attacked PM Modi)  হিন্দু পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লালু। তারই সঙ্গে তোপ দাগলেন বিজেপির পরিবারতন্ত্রের অভিযোগের বিরুদ্ধেও।


কী বললেন লালু?
এদিন পটনার জনসভায় চেনা মেজাজে দেখা গিয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবকে (Lalu Yadav on Parliament Election)। চেনা স্টাইলে মোদিকে নিশানা করে যা বললেন, তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'মোদি কী? কোনও বিষয় নাকি? এই নরেন্দ্র মোদি পরিবারবাদের উপর হামলা করছে। তুমি বল তোমার কেন কোনও সন্তান হয়নি। অধিক সন্তান হওয়া ব্যক্তিদের বলছে যে পরিবারতন্ত্র তৈরি করছে।' তাঁর খোঁচা, 'নরেন্দ্র মোদির নিজের পরিবার না থাকলে আমরা কী করতে পারি।'


এখানেই থামেননি লালু। মোদির হিন্দু পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কেন? সেখানেও আরজেডি সুপ্রিমো টেনে এনেছেন তাঁর মা-কে। লালুর মতে, 'উনি সত্যিকারের কোনও হিন্দু নন। হিন্দু সংস্কৃতিতে, বাবা-মা মারা গেলে পুত্রসন্তান তাঁর চুল-দাড়ি কামিয়ে ফেলেন। মোদি তাঁর মা মারা যাওয়ার পরে এমনটা করেননি।'


 






একসময়ের জোটসঙ্গী নীতিশ কুমারকেও (Lalu slams Nitish Kumar) একহাত নিয়েছেন লালু। তারসঙ্গে মেনে নিয়েছেন ভুলও। একসময় মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে গিয়েছিলেন নীতিশ। তারপরে আবার তাঁকে মহাজোটে নেওয়া ভুল ছিল বলে কার্যত মেনে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি লালুর মুখে উঠে এসেছে তাঁর ছেলে তেজস্বীর কথাও। সরকারের থাকাকালীন তেজস্বী যাদব কর্মসংস্থানে ঢালাও কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন লালু।   


লোকসভা ভোটের আগে বারবার ধাক্কা খেয়েছে I.N.D.I.A জোট। কখনও নীতিশ কুমার বেরিয়ে গিয়েছেন। কখনও কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের নেতা দলবদল করেছেন। বাংলায় একা লড়ার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। সেই আবহে পটনার সভা থেকে দেখা গেল  I.N.D.I.A জোট-এর জোটবদ্ধ রূপ। এদিন সভায় ছিলেন রাহুল গাঁধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে। ছিলেন অখিলেশ যাদবও।


আরও পড়ুন: '৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করলে ক্ষতি নেই', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিয়ে কেন বললেন শুভেন্দু?