কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেছেন তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তারপর রাজনীতির ময়দানে নামতে পারেন (justice abhijit ganguly on resignation) বলেও জানিয়েছেন। বারবার তাঁর সুখ্যাতি করা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari on Jusctice Abhijit Ganguly) কী বললেন? শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, 'রাজনীতির কথা বললেই প্রতিক্রিয়া দেব। ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করলে ক্ষতি নেই। ওঁর ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই আমি প্রতিক্রিয়া দেব।'


তিনি বলেন, 'পদত্যাগ গৃহীত হবে কিনা, রাজনৈতিক মঞ্চে যাবেন কি না। সামাজিক কাজ করবেন না কি বই লেখার কাজ করবেন? না কি কোনও অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বাংলার কাজ করবেন? সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। বিজেপির তরফ থেকে বলতে পারি ওঁর ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই আমি প্রতিক্রিয়া দেব।'


যদিও ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে সম্প্রচারিত হয়েছে যে সূত্রের খবর, আগামী ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তমলুক লোকসভা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থীও হতে পারেন তিনি। 


এর আগে কৌস্তভ বাগচি যে দিন বিজেপিতে যোগ দিলেন, সেদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন ৭ মার্চের কথা। ওই দিন বা তার আগে উল্লেখযোগ্য কিছু হতে পারে তেমন বক্তব্যও রেখেছিলেন। তাহলে কি এই বিষয়টির ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন তিনি? হচ্ছে জল্পনা।


কী বলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?
এদিন বাংলা রাজনীতিতে নাটকীয় পটপরিবর্তন দেখা গেল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থেকে ভোটের ময়দানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তাঁর পদক্ষেপের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। কোন দলে যাবেন তা নিয়ে স্পষ্ট না বললেও তিনি সাফ জানিয়েছেন যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। 


ভোটের লড়াইয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেই তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য়, 'মাঠে নেমে লড়াই করতে বারবার বলেছিল ক্ষমতাসীন দল। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে কড়া তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য,  'ইতিহাসে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের কথা পড়েছি, আর এটা চৌর্য সাম্রাজ্য। তৃণমূলের শাসনে পিছিয়ে পড়েছে বাংলা, চলছে অপমানজনক অধ্যায়। সবদিকে একটা অন্ধকার নেমে আসছে, এই অন্ধকার থেকে মুক্ত হতেই হবে। অন্তর বলছে, আদালতে আমার কাজের সময় শেষ হয়েছে। এবার মানুষের জন্য বৃহত্তর ক্ষেত্রে যেতে হবে। বিচারপতি হিসেবে কাজ শেষ হয়েছে, নতুন করে কিছু করার নেই।'


পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, মঙ্গলবার সূর্য সেনের মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি।  


আরও পড়ুন: একসময় রোজ আক্রমণ শানাতেন! আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে 'অন্য সুর' কুণালের