কলকাতা: ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে রবিবার ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের (TMC) ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে যে, আইএসএফ কর্মীরা যখন ব্রিগেডের পথে আসছিলেন তখন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁদের কটুক্তি করেন বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই বচসার সূত্রপাত। সেই ঘটনা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছয়। ৬ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের আনা হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে। এ ব্য়াপারে প্রতিক্রিয়া মেলেনি আইএসএফের।


ফুরফরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি প্রতিষ্ঠিত দলের বিরুদ্ধে ব্রিগেড যাওয়ার পথে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে এড়েন্ডা রাস্তার মোড়ে। অভিযোগ, ব্রিগেডমুখী আব্বাস সিদ্দিকীর অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। বিগ্রেড যাওয়ার পথে আব্বাস সিদ্দিকীর অনুগামীরা আচমকাই তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কর্মীদের ইট-পাটকেল, ঢিল এমনকী বোমা মারার অভিযোগও উঠেছে আইএসএফ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মোট ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার অভিযোগ, মেরে ৪ জনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীরা। আহত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সঙ্কটজনক ৩ জনকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। এর পাশাপাশি, দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।



চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, আহত ওই তৃণমূল কর্মীর শরীরে গভীর ক্ষত হয়েছে। অনেক সেলাই করতে হয়েছে তাঁর ক্ষতস্থানে। ওই ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর সিটিস্ক্যানও হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, বোম ফেটে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। শরীরে একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।