কলকাতা: ব্রিগেডের মঞ্চে কয়েক মুহূর্তের জন্য কাটল জোটের তাল। সমাবেশের মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তখনই সভাস্থলে আসেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্বাস সিদ্দিকি। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আইএসএফের কর্মী ও সমর্থকরা। বক্তব্য থামিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পোডিয়াম থেকে সরে যেতে চান অধীর। যদিও, তারপর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কথায় বক্তব্য শেষ করেন অধীর চৌধুরী।
আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের টানাপোড়েন চলছিলই। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে তা সামনে চলে এল।
ব্রিগেডে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, যেখানেই বামেরা প্রার্থী দেবে, সেখানেই রক্ত দিয়ে জেতাব। এভাবেই জোটের ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অধিকার সুনিশ্চিত করার আশ্বাসও শোনা গেল আব্বাস সিদ্দিকির কথায়।
এদিন ব্রিগেডে আব্বাস সিদ্দিকি আসতেই উচ্ছ্বাস ফেটে পড়ে মাঠ। এদিন নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্বাস বলেন, বামেরা আমাদের দাবি অনুযায়ী আসন ছেড়েছেন। যেখানেই বামেরা প্রার্থী দেবে, সেখানেই রক্ত দিয়ে জেতাব। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারকেও কড়া ভাষায় তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী দিন বিজেপি ও বিজেপির বি-টিম মমতাকে উৎখাত করব। আগামী নির্বাচনে মমতাকে শূন্য করে ছাড়ব।
আব্বাস সিদ্দিকি এদিন বলেন, “যদি এই সমঝোতা আরও এক সপ্তাহ আগে হত, তাহলে দ্বিগুণ মানুষের জমায়েত করতাম। কারণ বাংলার মানুষ মমতার সরকারের উপর ক্ষিপ্ত। দিদিমণির হাত থেকে ক্ষমতা একে একে চলে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অধিকার সুনিশ্চিত করব। অংশীদারিত্ব চাই, যদি কেউ মনে করে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবেন, তাহলে তাঁকে স্বাগত। এভাবে কংগ্রেসকে কড়া বার্তা দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। সিদ্দিকি বলেন, ‘আগামী দিন নিজেদের অধিকার নিজেরা বুঝে নেব।
অবশ্য মঞ্চে তাল কাটার কথা মানতে চাননি অধীর। তিনি বলেছেন, ব্রিগেডের মঞ্চে কোনও তাল কাটেনি। আব্বাস আসতে চিৎকার শুরু হয়েছিল। তাই ভাষণ থামিয়েছিলাম।
আব্বাসের দেওয়া সময়সীমা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, বামেদের সঙ্গে সমঝোতা এখনও বাকি। তারপর তো বাকিদের সঙ্গে আলোচনা।