কলকাতা: ব্রিগেড সমাবেশে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF)-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘বামেরা আমাদের দাবি অনুযায়ী আসন ছেড়েছেন। আগামী দিন বিজেপি ও বিজেপিরই টিম মমতাকে উৎখাত করব। আগামী নির্বাচনে মমতাকে শূন্য করে ছাড়ব। যেখানেই বামেরা প্রার্থী দেবে, সেখানেই রক্ত দিয়ে জেতাব। যদি এই সমঝোতা আরও এক সপ্তাহ আগে হত, তাহলে দ্বিগুণ মানুষের জমায়েত করতাম। কারণ বাংলার মানুষ মমতার সরকারের উপর ক্ষিপ্ত।’
ভোটের আগে জোটের ব্রিগেড! জোটের মঞ্চ। একসঙ্গে হাতে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন নেতারা। লাল আর তেরঙ্গা ঝাণ্ডার স্রোত। সমর্থকদের উচ্ছ্বাস!
আরও একটা বিধানসভা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে ব্রিগেড সমাবেশে শক্তি দেখাল বাম-কংগ্রেস আর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট! সেই মঞ্চে কার্যত মধ্যমণি হয়ে উঠলেন আব্বাস সিদ্দিকি ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। অতীতে বড় নেতারা যখন ব্রিগেডে পৌঁছতেন, তখন তুমুল উল্লাসে তাঁকে স্বাগত জানাতেন সমর্থকরা। এদিন কার্যত সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হল আব্বাসের উপস্থিতিতে।
আব্বাস বলেছেন, ‘বিজেপি ও তৃণমূলকে উৎখাত করব। মমতা মানুষের অধিকার হরণ করেছে। নির্বাচনে বুঝিয়ে দেব। সবাই এখন ভয়ে রয়েছে। মমতাকে শূন্য করে দেব। এ বাংলায় যখনই কালো হাত পড়েছে, তখনই কালো হাত ভাঙা হয়েছে। আমাদের শপথ বিজেপির কালো হাত ভাঙতে হবে।‘
যদিও আব্বাসের হুঙ্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল কিংবা বিজেপি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলছেন, ‘এত রক্ত দেওয়ার দরকার নেই। বাংলায় মমতার সরকার সুষ্ঠুভাবে চলছে, ওরা যা বলল, তা মানুষের বক্তব্য নয়।‘ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের গলাতেও কার্যত একই সুর।
আব্বাস সিদ্দিকি এদিন ব্রিগেডের সভা থেকে আরও বলেন, ‘বাংলার মানুষ মমতা সরকারের দুর্নীতির ওপর ক্ষিপ্ত। আমরা বাংলা দখল করব, গণতন্ত্র বাঁচাব, বেকারদের কাজ দেব, সবার পেটে ভাত দেব, সবার জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্যর ব্যবস্থা হবে।‘ সেই বক্তব্যকেও নস্যাৎ করেছেন ফিরহাদ। তিনি পাল্টা বলেছেন, ‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়, ওর কথার মূল্য নেই।‘