অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত বাম যুব নেতার মৃত্যু। মৌলালিতে ডিওয়াইএফআই-এসএফআই-এর প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে বাম যুব নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি। মারধরে ছিঁড়ল পুলিশের উর্দি। বাম ছাত্র যুব সংগঠনের অবশ্য দাবি, পুলিশ তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করতেই উত্তেজনা ছড়ায়। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক পুলিশকে বাঁচান। এরপরই এজেসি বোস রোড অবরোধ করেন বাম ছাত্র যুব নেতা-কর্মীরা।
পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত বাম যুব নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদ। কলকাতা থেকে জেলা, বামেদের প্রতিবাদ কর্মসূচি। মৌলালিতে পথ অবরোধ বামেদের। পুলিশ-এসএফআই ধস্তাধস্তি।
বামেদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন ওই ডিওয়াইএফআই নেতাকে পুলিশ ব্যাপক মারধর করে। সেই মারধরের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা, ৩১ বছরের মইদুল ইসলাম মিদ্যা। তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় সিপিএম নেতা তথা চিকিত্সক ফুয়াদ হালিমের ক্লিনিকে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ক্যামাক স্ট্রিটের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আজ সকাল ৭টা নাগাদ ওই ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ মর্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে ময়নাতদন্ত। পাশাপাশি, ময়নাতদন্তের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করা হবে।
‘লাঠির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি, জল জমে ফুসফুসেও। মৃতদেহে লাঠির আঘাতের চিহ্ন,’ দাবি সিপিএমের। খুন করেছে পুলিশ, অভিযোগ সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের। ‘ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনের উপর পুলিশি বর্বরতা। দায়ী পুলিশ অফিসারদের কঠোর শাস্তি চাই,’ দাবি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রর।
বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা মইদুল পেশায় ছিলেন অটো চালক। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী, দুই সন্তান। তাঁর মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছোনোর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়রা। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া।