আহমেদনগর: দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার শিরডি লোকসভা কেন্দ্রের আহমেদনগরে নির্বাচনী সভা করেন তিনি। সেখানেই কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন নমো। অতীতের মতো এদিনও নিজেকে ‘ইমানদার চৌকিদার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এবং একই সঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে দলপতি রাহুল গাঁধীকে ‘ভ্রষ্টাচারী নামদার’ বলতেও ছাড়েননি তিনি। আহমেদনগরের সভা থেকে জনতার উদ্দেশে মোদি বলেন, “এই নির্বাচনে ইমানদার চৌকিদার আর ভ্রষ্টাচারী নামদারের মধ্যে যেকোনও একজনকে বেছে নিতে হবে আপনাদের।” এখানেই শেষ নয়, আরও একধাপ এগিয়ে ফের একবার সেনা প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারতীয় বীর (সেনা জওয়ান) আর পাকিস্তানের সমর্থকদের মধ্যেও কোনও একজনকে আপনাদের বেছে নিতে হবে।”
এরপরই মনমোহন সরকারকে ‘রিমোট কন্ট্রোল’ পরিচালিত সরকার বলেও কটাক্ষ করতে শোনা যায় তাঁকে। কংগ্রেস সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগত, এমনও অভিযোগ করেছেন নমো। তাঁর কথায়, “ইউপিএ সরকারের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন, তাহলেই এনডিএ পরিচালিত সরকারের আসল লক্ষ্য পরিস্ফুট হয়ে যাবে। আপনারা দেখেছেন চৌকিদারের সরকার অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিমোট কন্ট্রোল (ইউপিএ) পরিচালিত সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগত। দুর্নীতিপরায়ণ ছিল।”
আহমেদনগরের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, তাঁর আমলে কোনও বোমা বিস্ফোরণ হয়নি। কংগ্রেস আমলে বাসে, ট্রেনে, স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ হত এবং অকালেই অনেক কৃষক, ব্যবসায়ী, মধ্যবিত্ত মানুষের প্রাণনাশ হত। মোদির দাবি, বিগত পাঁচ বছরে ভারতে কোনও বোমা বিস্ফোরণ হয়নি। সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের ওপর ভয় তৈরি করতে পেরেছে চৌকিদারের সরকার, সেকারণেই কোনও নাশকতা করার সাহস পায়নি সন্ত্রাসীরা। নরেন্দ্র মোদিকে আরও বলতে শোনা যায়, “আগের সরকার পাকিস্তান ও গোটা বিশ্বের কাছে খুবই দুর্বল ছিল।” যার নাকি আমুল পরিবর্তন হয়েছে বিজেপি আমলে।