ওয়ার্ধা: মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস, এনসিপিকে নিশানা নরেন্দ্র মোদির। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ওনার দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে, দলের রাশ ওনার হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূল নয় বুঝেই উনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিজেপি-শিবসেনা জোটের প্রচারে নেমে দাবি করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া প্রতিকূল টের পেয়েই পওয়ার ভোটে লড়ছেন না। এনসিপি-তে কোন্দল চলছে। পওয়ারের হাত থেকে পার্টি বেরিয়ে যাচ্ছে।
পুলওয়ামা সন্ত্রাসের পর বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার জঙ্গি ঘাঁটির ওপর বোমাবর্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিরোধীদের সমালোচনা করে জনতার কাছে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, দেশের নায়কদের না পড়শী দেশের চোখে হিরো হওয়া লোকজন, কাদের চান তাঁরা। কংগ্রেস, এনসিপিকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ওরা এমন ভাষায় কথা বলছে, যা পাকিস্তানে হাততালি পাবে।
কংগ্রেস ‘শান্তিপ্রিয় হিন্দু সমাজ’কে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মোদি। প্রসঙ্গত, সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ মামলার সূত্রে 'হিন্দু সন্ত্রাস' শব্দটা এসেছে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সমঝোতা নাশকতার কথা বলেননি। এই মামলায় অভিযুক্ত আরএসএস প্রচারক স্বামী অসীমানন্দ, আরও তিনজনকে সম্প্রতি বেকসুর খালাস করেছে আদালত। মোদি বলেন, হিন্দু সন্ত্রাস কথাটা চালু করেন তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক আদালতের রায়ে পরিষ্কার, কংগ্রেস দেশকে অপমান করেছে। হিন্দু সমাজ শান্তিপূর্ণ, গোটা বিশ্বকে এক পরিবার বলে দেখে। গোটা হিন্দু সমাজকে ছোট করেছে কংগ্রেস। যে হিন্দু সমাজকে কংগ্রেস সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করেছে, আজ তারা জেগে উঠেছে, কংগ্রেসকে শাস্তি দেবে বলে মনঃস্থির করেছে। সেজন্যই সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় (হিন্দু) অধ্যুষিত কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করাতে কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর অমেঠির পাশাপাশি সুদূর কেরলের ওয়েইনাড় থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, আমরা হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, এমন আসন থেকে লড়তে উনি ভয় পাচ্ছেন বলেই এমন একটা কেন্দ্র (ওয়েইনাড়) বাছলেন, যেখানে আমরা সংখ্যালঘু।
তাঁকে কংগ্রেস ‘শৌচাগারের চৌকিদার’ বলে কটাক্ষ, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করছে, অভিযোগ তুলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের বদনাম, বিদ্রূপ আমার কাছে অলঙ্কার।