নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারকে ‘বিপজ্জনক’ বললেন অরুণ জেটলি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা প্রথম সারির এই বিজেপি নেতার দাবি, এই ইস্তাহার বাস্তবে ‘রূপায়ণযোগ্য নয়’, ভারতের ‘বলকানাইজেশন’ অর্থাত দেশকে ভেঙে টুকরো টুকরো করাই এর লক্ষ্য। বলেন, আমি নিশ্চিত, দেশ এজন্য রাহুল গাঁধীকে ক্ষমা করতে চাইবে না।
কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারের আনুষ্ঠানিক প্রকাশের পর বিজেপি সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে জেটলি বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনে বদলের মতো প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কংগ্রেসের ‘একটি ভোটও’ প্রত্যাশা করা উচিত নয়, প্রাপ্য নয়। কংগ্রেসের ইস্তাহারে রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনে সংশোধনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন, মানহানি আইনেও সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। কংগ্রেস যে ৫টি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে, সেখানে কৃষিঋণ মকুবের ব্যাপারে প্রতীকী পদক্ষেপও করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জেটলির আরও অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মসূচির খসড়া বানানোর জন্য কমিটি গড়লেও মনে হচ্ছে তার জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত বেশ কিছু পয়েন্ট রাহুল গাঁধীর ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’য়ের বন্ধুদের দেওয়া। কংগ্রেসের ইস্তাহারের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অবশ্যই বিপজ্জনক, দেশকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার এজেন্ডা। জেটলির অভিমত, মাওবাদী, সন্ত্রাসবাদী, জেহাদিদের বাঁচাতে, মদত দিতে চায় কংগ্রেস, যাতে তারা শীঘ্রই জামিন পায়। এতে সিআরপিএফ জওয়ান, পুলিশকর্মীদের ওপর আক্রমণ বাড়বে। ফৌজদারি আইনে জওয়ানদের এরপর মামলার মুখে পড়তে হবে।
ইস্তাহারে জম্মু ও কাশ্মীরে সম্প্রদায়, গোষ্ঠীগত সাফাইয়ের টার্গেট হওয়া কাশ্মীরী পন্ডিতদের কোনও উল্লেখ না থাকায়ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন জেটলি।
গোরক্ষপুরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও কংগ্রেসের ইস্তাহারকে একগুচ্ছ মিথ্যা বলে অভিহিত করে জাতীয় সুরক্ষা ইস্যুতে গোটা বিরোধী শিবিরের অবস্থানের সমালোচনা করেন। বলেন, ৫৫ পৃষ্ঠার ইস্তাহারে ওরা নিজেদের ৫৫ বছরের ব্যর্থতাই প্রকাশ করেছে।