চেন্নাই: লড়াইটা ছিল একেবারেই শেয়ানে শেয়ানে। একদিকে ছিলেন ২ বারের রাজ্যসভার সাংসদ (২০০৪, ২০১০) তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ই এম সুদর্শন নাতচিয়াপ্পন। অন্যদিকে ছিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট সাংসদ তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তি। দড়ি টানাটানি চলছিল তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা কেন্দ্র নিয়ে। নাতচিয়াপ্পন ও কার্তি দুজনেই চেয়েছিলেন শিবগঙ্গা থেকে প্রার্থী হতে। প্রবীণ ও নবীনের লড়াইয়ে শেষে টিকিট পাকা করে ফেললেন কার্তিই।


রবিবার তাঁর নাম ঘোষণা করল হাইকমান্ড। যদিও  নাতচিয়াপ্পন শিবিরের দাবি, কার্তির প্রার্থী হওয়ার পিছনে আসলে কলকাঠি নেড়েছেন পি চিদম্বরমই। সুদর্শন নাতচিয়াপ্পনের অভিযোগ, ১৯৯৯ সালে তাঁকে হারিয়ে সাংসদ হওয়ার পর থেকেই চিদম্বরম তাঁর উপর খাপ্পা। সেবার তামিল মানিলা কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন চিদম্বরম। এরপর থেকে যখনই কোনও পদের জন্য দল তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে, চিদম্বরম বিরোধিতা করেছেন, অভিযোগ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এমনকি পি চিদম্বরমকে ‘ক্ষমতালোভী’ বলতেও বাধেনি তাঁর। সুদর্শন নাতচিয়াপ্পনের অভিযোগ, “পি চিদম্বরম কেবল তামিলনাড়ু কংগ্রেসের সভাপতি হয়েই ক্ষান্ত থাকেননি। ৯ বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। শিবগঙ্গা উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি ওরা। এখানকার মানুষ ওদের পরিবারকে একেবারেই পছন্দ করে না।”


পি চিদম্বরমের ছেলেকে প্রার্থী করা নিয়ে নাতচিয়াপ্পনের অভিযোগ, কার্তিকের বিরুদ্ধে ‘কোর্ট কেস’ চলছে। যদিও কার্তি এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা চলছে না। সব মিথ্যা অভিযোগ।


তামিলনাড়ু কংগ্রেসের সভাপতি কে এস আলগিরি অবশ্য হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকেই শিরোধার্য করেছেন। কার্যত কার্তির পাশে দাঁড়িয়েই তাঁর মন্তব্য, “কারও কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলে তিনি সরাসরি দলপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।” উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র থেকে লড়ে ৭ বার (১৯৮৪ সাল থেকে) সাংসদ হয়েছেন পি চিদম্বরম। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও চিদম্বরই ওই আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি তিনি। আসন দখলে রাখা তো দূর শিবগঙ্গা থেকে স্রেফ ১০ শতাংশ ভোটই পেয়েছিলেন তিনি। যার ফলে জেতা আসন খোয়াতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। এবার সেই হারা আসনে হেরে যাওয়া মন্ত্রীর ছেলেকেই প্রার্থী করল রাহুল গাঁধীর দল।