বারাণসী থেকে প্রিয়ঙ্কার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা গণতন্ত্র। যে কেউ যে কোনও জায়গা থেকে ভোটে লড়তেই পারেন। ভোটের ফলে প্রিয়ঙ্কা কতটা প্রভাব পড়তে পারে, জানতে চাওয়া হলে উমা সাংবাদিকদের বলেন, কিছুই না। এমন একজনের, যাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ রয়েছে, কোনও প্রভাব পড়বেই বা কেন? ভারতে একটা চোরের স্ত্রীকে যে চোখে দেখা হয়, তাঁকেও সেভাবেই দেখবে লোকে।
অমেঠি ও ওয়েনাড়, দুটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাহুল গাঁধী পরাজয় মেনে নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন উমা। কটাক্ষ করেন, উনি নিজের দলের সর্বভারতীয় সভাপতি, চাইলে যতগুলি ইচ্ছা নির্বাচনে লড়তেই পারেন।
বিজেপি নেত্রী জয়াপ্রদা সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করায় সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের তীব্র নিন্দা করে তাঁর ভোটে লড়ায় নিষেধাজ্ঞার দাবিও করেন উমা। বলেন, আজম আর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সমান শাস্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন আদিত্যনাথের প্রতি অবিচার করেছে। আদিত্যনাথ ভগবানের নাম মুখে এনেছেন, কোনও মহিলাকে অপমান করেনি। আজমের বিরুদ্ধে মহিলাদের অবমাননা সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির যাবতীয় ধারা প্রয়োগ করা উচিত।
প্রসঙ্গত, উসকানিমূলক সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের অভিযোগে সোমবার দেশব্যাপী ৭২ ঘন্টা আদিত্যনাথের ভোটপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। আদিত্যনাথের মন্তব্যে নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরণের বিপদ রয়েছে বলে অভিমত জানায় তারা। পাশাপাশি রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী জয়া প্রদা সম্পর্কে ‘খাকি অন্তর্বাস’ কটাক্ষের জন্য আজমের প্রচারেও তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন।