নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে ১৬ এপ্রিল ওড়িশার সম্বলপুর গেলে তাঁর মতো ‘এসপিজি নিরাপত্তাভোগীদের জন্য নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নির্দেশ, নিয়মাবলীর পরিপন্থী’ কাজ করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল এক উচ্চপদস্থ নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে। কমিশন সূ্ত্রে খবর, ‘কর্তব্যে গাফিলতি’র অভিযোগে কর্নাটক ক্যাডারের আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিনকে সাসপেন্ড করেছে তারা। মহসিনের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে। মহসিনের কাজকর্মের জন্য প্রায় ১৫ মিনিট প্রধানমন্ত্রীকে অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে জেলা কালেক্টর ও পুলিশ ইনস্পেক্টর জেনারেলের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সম্বলপুরের ওই পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।
ভুবনেশ্বরে কমিশনের জনৈক অফিসার বলেন, সম্বলপুরে প্রধানমন্ত্রীর চপারে তল্লাশি হওয়াটা নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনের সম্পূর্ণ বিপরীত, কেননা এসপিজি সুরক্ষার অধিকারীরা এ ধরনের পরীক্ষা থেকে ছাড় পান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রৌরকেল্লায় কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের চপারও তল্লাসি করে। সম্বলপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের চপারও ফ্লাইং স্কোয়াড পরীক্ষা করে বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেস ওড়িষায় নিযুক্ত উচ্চপদস্থ নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের সাসপেনশনের নির্দেশের সমালোচনা করেছে। কমিশনের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা বলেছে, নির্বাচন কমিশনের নিয়মে প্রধানমন্ত্রীর চপারেরও তল্লাশি থেকে অব্যাহতি নেই।
মহসিনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তকে কমিশনের পক্ষপাত বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। তাদের প্রশ্ন, মোদি এমন কী হেলিকপ্টারে নিয়ে যাচ্ছিলেন, যা দেশকে দেখাতে চাননি। কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, যানবাহন তল্লাশি করা কাজ, আর সেই কাজ করায় এক অফিসারকে সাসপেন্ড করল নির্বাচন কমিশন। যে নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে প্রচারে সরকারি যানের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর যানও তল্লাশি থেকে ছাড় পায় না। নেতাদের সব চপার তল্লাশির বদলে কমিশন তার নিজের অফিসারদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। মোদির চপার থেকে রহস্যজনক বাক্স বের করে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর কমিশন প্রতিটি হেলিকপ্টার তল্লাশি করবে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু একজন অফিসারকে সাসপেন্ড করার মধ্যে পক্ষপাতের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।