আমরেলি: গুজরাতে সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি বসানোর মানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে অপমান করা নয়। নির্বাচনী জনসভায় বললেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস যদিও পটেলকে নিজেদের নেতা বলে দাবি করে, কিন্তু ওদের একজন নেতাও পটেলের মূর্তি দেখতে যাননি।
গত ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নিজে নর্মদার তীরে সাধু বেট এলাকায় সর্দার পটেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৮২ মিটার দীর্ঘ ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। মূর্তি বসাতে খরচ হয়েছে ২৩৮৯ কোটি টাকা। মোদি সরকার নেহরুকে খাটো করতে সর্দার পটেলের ওই মূর্তি বসিয়েছে বলে দাবি কোনও কোনও মহলের।
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য অভিযোগ নাকচ করে পটেল মূর্তি বসানোর পক্ষে সওয়াল করেন, গুগলে গিয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ মূর্তির তথ্য জানতে চাইলে যখন গুজরাত আর ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটির নাম দেখেন, তখন গর্ব হয় না? আমি কিন্তু পন্ডিত নেহরুকে ছোট করতে সর্দার পটেলের মূর্তি বানাইনি। পটেলের ব্যক্তিত্ব এতই বিরাট যে, অন্যদের ক্ষুদ্র করে দেখাতে হয় না।
তাঁর সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের মাত্র ‘আড়াইখানা’ জেলায় সন্ত্রাসবাদ সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছে, গত ৫ বছরে দেশের কোথাও কোনও বোমা বিস্ফোরণ ঘটেনি বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে যা শিখেছিলেন, তা ২০১৭-য় চিনের সঙ্গে ভারতের ডোকলাম সংঘাতের সময় তাঁকে সাহায্য করেছে বলেও জানান মোদি। ভারতীয় সেনাবাহিনী ডোকলামে একটি বিতর্কিত এলাকায় চিনা সেনাদের রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় ৭৩দিন ধরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে দুদেশের সেনা। মোদি বলেন, এটা আমার কাছে নির্বাচনী সভা নয়, গুজরাতে যে শিক্ষা পেয়েছি, সেজন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানানোর মূহূর্ত।
বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পর তিনি ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ওনাকে ফোন তোলার জন্য প্রকাশ্যে আমাদের কাছে আবেদন করতে হয়েছিল।