আদিত্যনাথের বিতর্কিত মন্তব্য সংক্রান্ত খবর বিবেচনা করে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশনের উত্তরপ্রদেশ শাখা । গাজিয়াবাদের জেলাশাসককে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনের দপ্তরে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। গাজিয়াবাদের নির্বাচনী জনসভায় রবিবার আদিত্যনাথ বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের আদর করে বিরিয়ানা খাওয়ায় কংগ্রেস, আর মোদির সেনাবাহিনী ওদের বুলেট, বোমা মারে। এটাই পার্থক্য। সন্ত্রাসবাদে উত্সাহ দিতে মাসুদ আজহারকে 'জি' বলে কংগ্রেসের লোকজন।
কমিশন গত ১৯ মার্চ রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়ে দেয়, লোকসভা ভোটের প্রচারে প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাজকর্মকে প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার করা চলবে না। রাজনৈতিক দলগুলি, তাদের প্রার্থীরা যেন প্রচার সামগ্রীর মধ্যে জওয়ানদের ছবি কাজে না লাগান। প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্য্যকলাপকে জড়িয়ে কোনওরকম রাজনৈতিক প্রচার করা যাবে না।
এই প্রেক্ষাপটে আদিত্যনাথের মন্তব্যে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। কংগ্রেস সহ বিরোধীরা তাঁর নিন্দা, সমালোচনায় মুখর।
ভারতীয় সেনাকে দেশের সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে মমতা বলেছেন, সেনাবাহিনী সারা দেশের। আদিত্যনাথের মন্তব্যের প্রতিবাদ করা এবং তা খারিজ করার জন্য জনগনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
তৃণমূল নেত্রীর ট্যুইট, ‘ভারতীয় সেনাকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোদি সেনা বলেছেন শুনে স্তম্ভিত। আমাদের সকলের শ্রদ্ধার ভারতীয় সেনাকে কোনও ব্যক্তির নামে চিহ্নিত করার মনোবৃত্তি অপমানজনক ও অবমাননাকর। আমরা আমাদের সেনার জন্য গর্বিত। তারা সবারই। তারা আমাদের দেশের সম্পদ। বিজেপির ক্যাসেট নয়। দেশের মানুষের এই মন্তব্যের নিন্দা করা এবং এর বিরুদ্ধে সরব হওয়া উচিত’।