রাহুলকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, তাদের কাছে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেছেন যে, ২০০৩ সালে ব্রিটেনে তালিকাভুক্ত ব্যাকঅপস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ডিরেক্টরদের অন্যতম রাহুল, ২০০৫ এর ১০ অক্টোবর ও ২০০৬ এর ৩১ অক্টোবর জমা দেওয়া সেই কোম্পানির বার্ষিক রিটার্নে রাহুল নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসাবে উল্লেখ করেছেন, তাঁর জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯৭০ এর ১৯ জুন। সরকারের নোটিসে এও বলা হয়েছে, তাছাড়া ২০০৯ এর ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই কোম্পানি ভেঙে দেওয়ার আবেদনেও আপনার নাগরিকত্ব ব্রিটেনের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এই বার্তা পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই মন্ত্রককে আপনি এ ব্যাপারে কী তথ্য আপনার কাছে আছে, তা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোটিসে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেছেন, গোটা দুনিয়া জানে জন্মসূত্রে রাহুল গাঁধী ভারতীয় নাগরিক। আসলে বেকারি, কৃষিক্ষেত্রে সঙ্কট, কালো টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও উত্তর নেই বলে তিনি মানুষের নজর ঘোরাতেই সরকারি নোটিস পাঠিয়ে ‘মিথ্যা ভাষ্য’ তৈরির রাস্তায় হাঁটছেন।
যদিও রাহুলকে নোটিস পাঠানোর বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, একজন সাংসদ কোনও মন্ত্রককে চিঠি লিখে কিছু জানতে চাইলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মেনেই জবাব চাওয়া হয়। সাংসদের জানতে চাওয়া তথ্য নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হল, জানা দরকার হয়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার, এমন কিছু বড় ঘটনা নয়।
রাহুলের ভারতীয় নাগরিকত্ব সম্পর্কে সংশয়, সন্দেহ প্রকাশ করে আপত্তি তুলেছিলেন অমেঠি লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী ধ্রুব লালও। যদিও রাহুলের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে জানিয়ে দেন অমেঠির রিটার্নিং অফিসার রাম মনোহর মিশ্র। লাল কাগজপত্র পেশ করে দাবি করেন, নাগরিকত্ব ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত তথ্য সহ রাহুলের মনোনয়নে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে, ব্রিটেনে পেশ করা কোম্পানির নথিপত্রে তিনি নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও লালের দেওয়া নথির সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।