ভিওয়ানি (হরিয়ানা): নরেন্দ্র মোদিকে ‘বক্সার’ বলে কটাক্ষ রাহুল গাঁধীর। হরিয়ানার ভিওয়ানিকে বক্সার তৈরির সুতিকাগার বলা হয়। এবার দিল্লিতে কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া বিজেন্দ্র সিংহ সহ বেশ কয়েকজন নামী বক্সার উঠে এসেছেন এখান থেকেই। সেখানেই রাহুল আজ বললেন, প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে সপাটে মুখে ঘুষি মেরে কোণঠাসা করে দিয়েছেন ‘বক্সার প্রধানমন্ত্রী’।
কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি নিয়ে গর্ব করা বক্সার নরেন্দ্র মোদি বেকারি, কৃষক সমস্যা, দুর্নীতি ও অন্যান্য সমস্যা মোকাবিলায় রিংয়ে নেমেছিলেন। গত ৫ বছরে তিনি ভারতের গরিব, দুর্বলতর অংশ, কৃষককে আঘাত করেছেন। এখন লোকে বলছে, তারা আর এই বক্সারকে চায় না। উনি বুঝতেই পারছেন না, কার বিরুদ্ধে লড়ছেন। মোদি দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন রাহুল। জিএসটির প্রতি ইঙ্গিত করে রাহুল বলেন, নরেন্দ্র মোদির কোচ আডবাণীজি, গডকরীর মতো টিমের বাকি সদস্যরাও ছিলেন। মোদি রিংয়ে ঢুকে প্রথমেই আডবাণীর মুখে ঘুষি মারলেন, তাঁকে অপমান করলেন। তারপর এই বক্সার ছোট দোকানদারদের নোট বাতিল ও গব্বর সিংহ ট্যাক্স বসিয়ে শুইয়ে দিলেন। সারা দেশ জানে, এইসব সিদ্ধান্তে মানুষের কতটা ক্ষতি হয়েছে। বক্সার প্রধানমন্ত্রী এখানেই না থেমে যে কৃষকরা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, ঋণ মকুবের দাবি করছেন, তাঁদের আঘাত করেছেন। লোকে হতবাক হয়ে এই বক্সারের কীর্তিকলাপ দেখছে। কার বিরুদ্ধে লড়তে হবে, তার কোনও ধারণাই ওনার নেই। রাহুলের দাবি, জনগণ এবার মোদিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চলেছেন। তিনি বলেন, এবার বক্সার রিংয়ে পড়ে গিয়ে শূ্ন্যে ঘুষি ছুঁড়ছেন।
রাফালে যুদ্ধবিমান ডিলে দুর্নীতির অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে রাহুল আজও দাবি করেন, মোদি এক শিল্পপতির কোম্পানিকে ৩০০০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। বলেন, চাষির ঋণ মাফ হয়নি, কিন্তু অপরাধীদের টাকা দেওয়া হয়েছে, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।