পিটিশনে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ২০১৫ সালের নভেম্বরে অভিযোগ জানালেও রাহুল গাঁধীর ‘স্বেচ্ছায় ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রশ্নটির মীমাংসায়’ কেন্দ্র, নির্বাচন কমিশন ‘নিষ্ক্রিয়’ থাকায় আবেদনকারীরা ‘অখুশি’।
দুই আবেদনকারী, জয় ভগবান গোয়েল ও সি পি ত্যাগীর দাবি, এই সংক্রান্ত প্রাথমিক নথিপত্র, তথ্য যেহেতু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করা হয়েছে, তাই রাহুলকে অমেঠি ও ওয়েনাড়, এই দুটি কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে দেওয়া উচিত হয়নি।
আইনজীবী বরুণ কুমার সিনহার পেশ করা পিটিশনে ‘ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রশ্নের নিরসন না হওয়া পর্যন্ত’ কমিশনকে ‘ভোটার তালিকা থেকে রাহুলের নাম বাদ দিতে’ নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে।
পিটিশনটি দ্রুত শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ৈর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উল্লেখ করা হয়। পিটিশনারদের কৌঁসুলি আগামী সপ্তাহে শুনানির আবেদন করেন। বেঞ্চ বলে, আমরা দেখব। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্না।
সম্প্রতি রাহুলকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছিল, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে ব্রিটেনে ব্যাকঅপস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি নথিভুক্ত হয়, যার ডিরেক্টরদের মধ্যে ছিলেন রাহুল গাঁধী। স্বামীর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৫ এর ১০ অক্টোবর ও ২০০৬ এর ৩১ অক্টোবর জমা দেওয়া ওই ব্রিটিশ কোম্পানির বার্ষিক রিটার্নে রাহুলের জন্মের তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯৭০ এর ১৯ জুন, তাঁকে ব্রিটিশ নাগরিক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।