নয়াদিল্লি: ট্যুইটার হ্যান্ডলে নিজের নামের আগে বসানো ‘চৌকিদার’ বিশেষণ সরিয়ে ফেললেন নরেন্দ্র মোদি। সোস্যাল মিডিয়ায় ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ (আমিও চৌকিদার) প্রচার কর্মসূচির সূচনা করে ১৭ মার্চ ট্যুইটার হ্যান্ডলে ‘চৌকিদার’ শব্দটি লেখেন প্রধানমন্ত্রী। আজ ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে বিরাট সাফল্যের পর মোদি লেখেন, চৌকিদারির চেতনাকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে। সেই চেতনাকে প্রতিটি মূহূর্তে বাঁচিয়ে রেখে ভারতের প্রগতির জন্য কাজ করে যেতে হবে।






মোদি ট্যুইটে লিখেছেন, ভারতের মানুষ চৌকিদার হয়ে দেশের বিরাট সেবা করেছেন। ভারতকে জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতির অভিশাপ থেকে রক্ষার লড়াইয়ে চৌকিদার এক শক্তিশালী প্রতীক হয়ে উঠেছে।

মোদির দেখাদেখি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি সহ বিজেপির একাধিক নেতানেত্রী নিজেদের ট্যুইটার হ্যান্ডলে নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটি বসান। আজ তাঁরাও শব্দটি প্রোফাইল থেকে বাদ দেন।
মোদি অবশ্য বলেছেন, ট্যুইটার থেকে বাদ গেলেও ‘চৌকিদার’ শব্দটি আমার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িয়ে আছে। আপনাদের সবাইকেও তেমনটি করার আবেদন করছি।
১০ মার্চ লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার কয়েকদিন বাদে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি। রাফাল যুদ্ধবিমান ডিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাহুল গাঁধীর মোদিকে নিশানা করে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ কটাক্ষের জবাবেই ওই কর্মসূচি হাতে নেয় তারা। রাহুল নির্বাচনী প্রচারে বারবার মোদিকে উদ্দেশ্য করে ওই কটাক্ষ করেন।
২০১৪-র ভোটের প্রচারে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশবাসীর অর্থ ও স্বার্থরক্ষায় চৌকিদারের ভূমিকা পালন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি।