মুম্বই: দুই শরিকের মন কষাকষি, প্রকাশ্যে ঝগড়াঝাটি ছিল। সম্পর্ক যাই যাই হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোট দেখিয়ে দিল, এক সঙ্গে ভোট লড়লে বিজেপি-শিব সেনা জোটকে হারাতে পারে, এমন রাজনৈতিক দল মহারাষ্ট্রে এখনও উঠে আসেনি। ৪৮টি আসনের মধ্যে সিংহভাগ পকেটে পুরেছে বিজেপি-সেনা জোট, কংগ্রেস, এনসিপি ধারে কাছে নেই।

বহু আসনে লাখের ওপর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি-সেনা প্রার্থীরা। অনায়াসে জয় পেয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি ও সুভাষ ভামরে। জলগাঁও, মাভেল, পুণে, আহমেদনগর, জালনা, লাতুর, কোলহাপুর- সর্বত্র হই হই করে জিতছে ক্ষমতাসীন জোট। সেখানে এনসিপি-কং মিলিয়ে এখনও দশের আশপাশে আসেনি। এআইএমআইএম ও নির্দলদেরও অত্যন্ত করুণ অবস্থা।

তবে বারামতীতে প্রথমদিকে পিছিয়ে থাকলেও পরে লাখখানেকের বেশি লিড পেয়েছেন শরদ পওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে। তবে বহু ভোটে পিছিয়ে তাঁর ভাইপো পার্থ পওয়ার। তিনিও লড়েছেন এনসিপি-র হয়ে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান পিছিয়ে পড়েছেন। পিছিয়ে আর এক কংগ্রেস হেভিওয়েট সুশীলকুমার শিন্ডেও।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মন্তব্য করেছেন, ২০১৪-র মোদী হাওয়া এখন পরিণত হয়েছে মোদী সুনামিতে। তাঁর ধারণা, গতবারের থেকে এবার বেশি ভাল করতে চলেছে বিজেপি-সেনা জোট। এর ফলে তাঁদের দায়িত্ব আরও বাড়ল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি ফড়নবীশ। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কাজ করায় দু’দলেরই আসন সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।