নয়াদিল্লি: ঘণ্টাখানেক সময়ও লাগল না, মায়াবতীর তিরস্কারের জবাব দিলেন প্রিয়াঙ্কা গাঁধী বঢড়া। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হচ্ছে না, এই বার্তা আগেই দিয়েছিলেন বুয়া-ভাতিজা। বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও সমাজবাদী পার্টি আসন সমঝোতা করে লোকসভা ভোট লড়ছে, এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পরই মহাজোটের ছবিটা একেবারে পাল্টে যায়। তবে সৌজন্যের খাতিরে আমেঠি ও রায়বরেলি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে পাল্টা সৌহার্দ বিনিময়ের নজির রেখে জোটের জন্য ৭টি আসন ছেড়ে দেয় কংগ্রেসও।


ইউপি-র ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭৩টি-তে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানালেও এসপি, বিএসপি ও আরএলডি- এই জোটের জন্য ৭টি আসন ছাড়ে রাহুল গাঁধীর দল। কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তেই ক্ষুব্ধ হন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। আসন না ছেড়ে কংগ্রসকে ৮০ আসনেই প্রার্থী দিতে বলেন তিনি। মায়াবতীর কটাক্ষ, কংগ্রেস বিভ্রান্তি তৈরি করছে। বিএসপি নেত্রীর এই মন্তব্যের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই কংগ্রেসের তরফে জবাব দিয়ে দিলেন প্রিয়াঙ্কা। ইন্দিরা গাঁধীর নাতনি মায়াবতীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এখানে রাগ করার মতো কিছু নেই। আমাদের সবার একটাই লক্ষ্য, বিজেপিকে পরাস্ত করা।”


উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, “উত্তরপ্রদেশে আমরা একাই লড়ছি। বাকিদের সঙ্গে আমাদের কোনও বৈরিতা নেই। আমাদের লক্ষ্য বিজেপিকে পরাস্ত করা। তাদেরও লক্ষ্য এটাই।” একই সঙ্গে এদিন নরেন্দ্র মোদিকেও একহাত নেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর কথায়, “নরেন্দ্র মোদি ধনীদের চৌকিদারি, কৃষকদের নন”। ‘চৌকিদার’ মোদির উদ্দেশে প্রিয়াঙ্কার কটাক্ষ, “তিনি শিল্পপতিদের পকেট ভরিয়েছেন। মোদি কেবল শিল্পপতিদেরই উপকার করেছেন। তাই ভোট দেওয়ার আগে ভাবুন। বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিন, যাতে দেশে বদল আসে।”