উন্নাও: বিজেপি প্রকাশিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন হাফ ডজনের উপরে নেতা মন্ত্রী। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য টিকিট পাননি লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো বর্ষীয়ান নেতা। যোগী রাজ্য থেকেই বাদ পড়েছেন ৬ জন জয়ী সাংসদ। টিকিট দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৃষ্ণ রাজকে। প্রার্থী তালিকা থেকে বাইরে রাখা হয়েছে জাতীয় আদিবাসী কমিশনের চেয়ারম্যান তথা রাম শঙ্কর কাঠেরিয়াকেও। ‘মার্গদর্শক’ মুরলী মনোহর জোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধী, যুব নেতা তথা সাংসদ বরুণ গাঁধীর ভবিষ্যত্ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তাঁদের নাম এখনও প্রকাশ করেনি বিজেপি। এই পরিস্থিতি নিজের আসন পাকা করে ফেললেন গেরুয়া শিবিরের কট্টরপন্থী নেতা সাক্ষী মহারাজ।


বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিজেপির প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী এবারও উন্নাও লোকসভা আসন থেকে লড়ছেন বাবরি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সাক্ষী মহারাজ। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্বকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েই টিকিট পাকা করেছেন তিনি। উন্নাওয়ের সাংসদ শীর্ষ নেতৃত্বদের কার্যত হুমকির সুরে বলেন, তাঁকে টিকিট না দিলে ফল ভাল হবে না। উত্তর প্রদেশের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডেকে চিঠিতে তিনি লেখেন, “আমাকে উন্নাও থেকে না দাঁড় করালে দলের পক্ষে তা ভাল হবে না।” ৭ মার্চ এই চিঠি লিখেছিলেন সাক্ষী মহারাজ। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। সেখান ৬৩ বছরের কট্টরপন্থী নেতার নামেই সিলমোহর দেন শীর্ষ নেতারা।


উল্লেখ্য, কল্যাণ সিংহ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাক্ষী মহারাজ ১৯৯১ থেকেই সাংসদ। প্রথমবার মথুরা থেকে জিতে লোকসভায় যান তিনি। পরের বারও মথুরা থেকে পদ্ম ফুটিয়েই নিজের সাংসদ পদ পাকা করেন এই নেতা। এরপর ফারুকাবাদ থেকেও প্রার্থী করা হয় তাঁকে। তিনি সেখান থেকেও জেতেন। পরে একটা সময় বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতেও যোগদান করেন তিনি। মুলায়ম সিংহের বদান্যতায় সাংসদও হন। ২০০০ ও ২০০৬ সালে রাজ্যসভায়ও সাংসদ থেকেছেন সাক্ষী মহারাজ। মূলত অটল বিহারী বাজপেয়ীর অপছন্দের কারণেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর বৈরিতা তৈরি হয়। তবে দলে মোদি-শাহদের আমল শুরু হতেই ফের ঘরওয়াপসি হয় তাঁর। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উন্নাও থেকে পদ্ম শিবিরের হয়ে লড়েন সাক্ষী মহারাজ। এবারও ওই কেন্দ্রে তাঁকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি।