পটনা: দেশে তীব্র দাবদাহের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে ভোটপ্রক্রিয়া চালানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নীতীশ কুমার। দু-তিন দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
রবিবার সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণের দিন সকালে পটনায় রাজভবনের কাছে সরকারি স্কুলের বুথে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এত লম্বা সময় ধরে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। ভোট করার এটা উপযুক্ত সময় নয়। আমাদের দেশে হয় ফেব্রুয়ারি-মার্চ অথবা অক্টোবর-নভেম্বর, এই সময়কালের মধ্যে দুটি বা তিনটি পর্বে নির্বাচন করা উচিত।
এতগুলি দফায় ভোট হওয়া ঠিক নয় বলেও অভিমত জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, একেবারে যতটা সম্ভব কম পর্বে নির্বাচন করা প্রয়োজন যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে লোকের অসুবিধা না হয়, কেননা বুথে তাঁদের জন্য কোনও শেডের বন্দোবস্ত না থাকায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তিনি আরও বলেন, যখনই নির্বাচন হবে, তা যাতে ফেব্রুয়ারি-মার্চ বা অক্টোবর-নভেম্বরে হয় এবং এতগুলো পর্বে না হয়, সেজন্য সাংবিধানিক বন্দোবস্ত করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট লোকজনের মধ্যে ঐকমত্য হওয়া উচিত। আদর্শগত ভাবে সারা দেশে একবারেই নির্বাচন সেরে ফেলাটাই কাম্য, কিন্তু যেহেতু আমাদের দেশটা আয়তনে এত বড়, তাই উত্তরপূর্ব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো পাহাড়ি এলাকার কথা মাথায় রেখে দুটি বা তিনটি পর্বে হোক।
যদিও লম্বা সময় ধরে চলা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে পরিচালনায় ব্যর্থতা বলে গণ্য করা যায় না বলে অভিমত জানিয়ে নীতীশ বলেন, এবারের ভোটপর্ব মিটে গেলে, হাজারো ইস্যুতে এত ভিন্নমত হওয়া সত্ত্বেও আমার দলের সভাপতি হিসাবে সব দলের সভাপতিদের এ ব্যাপারে (ভোট করানোর সময়সূচি) চিঠি দেব। তাঁর এই ভাবনা দেশের ভালর জন্যই বলে দাবি করে নীতীশ বলেন, দলগুলি তা মেনে নিলে দেশের প্রত্যেকের, বিশেষ করে ভোটারদের উপকারই হবে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে নীতীশ আস্থা প্রকাশ করেন যে, কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই এনডিএ সরকার হবে।
প্রচারে তাঁর কী কী ইস্যু ছিল, জানতে চাওয়া হলে নীতীশ জানান, তাঁর একমাত্র ইস্যু উন্নয়ন, যা তিনি গত ১৩ বছর ধরে চালিয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্রের সরকার যেসব কাজ করেছে, তারও উল্লেখ করেছেন তিনি।