মানেকার অগ্নীপরীক্ষা ১২ মে। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। আজ তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেই তিনি বলেন, সেদিনের মন্তব্যে তিনি শুধু এটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, কাজের ক্ষেত্রে তিনি জাতপাত, ধর্মকে কখনও কোনও গুরুত্বই দেন না, কিন্তু তাঁর খারাপ লাগে যখন লোকজনকে বলতে শোনেন যে, ‘পদ্মফুলে’ ছাপ দিতে চান না বলে তাঁরা তাঁকে ভোট দেবেন না। মানেকার দাবি, যেখানেই যাই না কেন, সব ধর্ম, সম্প্রদায়ের কথাই ভেবেছি। কাজ করার সময় সবার জন্যই কাজ করি, তখন কেউ পদ্মফুল নিয়ে মাথা ঘামায় না, কিন্তু ভোট এলে লোকে বলে, তারা আমায় ভোট দেবে না কেননা পদ্ম প্রতীকে তারা ছাপ মারতে চায় না। খুব খারাপ লাগে তখন। আমার বক্তব্য শুনেছেন, সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ভাবে তার বিচার করা হয়েছে।
কেন ছেলে বরুণ গাঁধীর সঙ্গে কেন্দ্র অদলবদল করলেন, জানতে চাওয়া হলে এবার সুলতানপুরে প্রার্থী হওয়া মানেকা জানান, এটা দলীয় সিদ্ধান্ত, তিনি উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
গত মাসে মানেকা মুসলিম অধ্যুষিত তুরাবখানি এলাকায় ভোটপ্রচারে মুসলিমদের তাঁকে ভোট দেওয়ার ডাক দিয়ে বলেন, লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেলেও তাঁকে দরকার হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা মহাত্মা গাঁধীর সন্তান নই যে, শুধু দিয়েই যাব, বিনিময়ে কিছু পাব না। মানেকা দাবি করেন, তিনি জিতছেন, মুসলিম সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে ‘আগামীকাল আমার সঙ্গে আপনাদের দেখা হতে পারে’ বলেও মন্তব্য করেন।