জম্মু: তাদের কাছে ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে সার্জিক্যাল হামলা হওয়ার ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই বলে জানাল সেনাবাহিনী। ওইদিন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটির ওপর উরি হামলার জবাবে সার্জিক্যাল হামলা চালায় ভারতীয় সেনা, যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়। পরবর্তীকালে দাবি ওঠে, আগের ইউপিএ জমানাতেও এ ধরনের সামরিক অভিযান হলেও তত্কালীন সরকার এ নিয়ে প্রচার চালায়নি বর্তমান সরকারের মতো। সম্প্রতি কংগ্রেস ও ইউপিএ দাবি করে, মনমোহন সিংহ সরকারের আমলেও ৬ বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। জম্মুর জনৈক তথ্য অধিকার আন্দোলনকর্মী রোহিত চৌধুরি তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) ২০০৪ থেকে ২০১৪র মধ্যে ও ২০১৪-র সেপ্টেম্বরের পর পাকিস্তানে কতগুলি সার্জিক্যাল হামলা হয়েছে, জানতে চেয়ে আবেদন করেন, কতগুলি অভিযান সফল হয়েছে, সেই তথ্যও চান। কিন্তু ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) জবাবে কংগ্রেস ও ইউপিএ-র দাবি কার্যত খারিজ করে দিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ইন্টিগ্রেটেড হেডকোয়ার্টার্সে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এডিএস জাসরোতিয়া বলেন, ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে যদি কোনও সার্জিক্যাল হামলা আদৌ হয়েও থাকে, তাহলেও এই বিভাগের কাছে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই নেই। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সার্জিক্যাল হামলা করেছিল। তাতে কোনও ভারতীয় সেনা মারা যাননি।
সম্প্রতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ নিজেও সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আগের ইউপিএ জমানায় সার্জিক্যাল হামলা চালানোর দাবি করে বলেন, একাধিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল আমাদের সময়েও। আমাদের কাছে সামরিক অভিযান ভোট পাওয়ার হাতিয়ার নয়, বরং কৌশলগত প্রতিরোধশক্তি অর্জন ও ভারতবিরোধী শক্তিদের যোগ্য জবাব দেওয়ার মাধ্যম। গত সপ্তাহে এমনকী কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্ল সাংবাদিকদের কাছে মনমোহন সরকারের ৬টি সার্জিক্যাল হামলার তালিকা, দিনক্ষণও দেন। বিজেপি নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ যদিও তা খারিজ করে ট্যুইট করেন, মিথ্যা বলা কংগ্রেসের স্বভাব। দয়া করে বলবেন, তথাকথিত সার্জিক্যাল হামলাগুলির কোনটা আমার সেনাপ্রধান থাকার সময় হয়েছে। আমি নিশ্চিত, এসব গল্প ফাঁদার জন্য আপনারা কাউকে ভাড়া করেছেন।