লখনউ: প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে ‘বিজেপির রত্ন’ বলে কটাক্ষ করে কেন নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন বাতিল করছে না, প্রশ্ন তুললেন মায়াবতী। বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) সভানেত্রীর দাবি, প্রজ্ঞা একের পর এক আপত্তিকর মন্তব্য করে চলেছেন।
মায়াবতী ট্যুইট করেছেন, মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত, ভোপালের বিজেপি প্রার্থী স্বাধ্বী প্রজ্ঞা দাবি করছেন, তিনি ‘ধর্মযুদ্ধ’ লড়ছেন। এটাই বিজেপি, আরএসএসের আসল চেহারা যা লাগাতার বেরিয়ে পড়ছে। কিন্তু কমিশন কেন শুধু নোটিসই দিচ্ছে, বিজেপির রত্ন প্রজ্ঞার মনোনয়ন বাতিল করছে না? মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে মানুষের মন জয় করতে না পারলে সেটা গণতন্ত্র ও বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী মোদি বাদে বাকি সবার কাছে গভীর উদ্বেগের ব্যাপার। মোদি, বিজেপির বিরুদ্ধে মারাত্মক নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।



২০০৮ এর মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন প্রজ্ঞা। ২০০৮ এর ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে এক মসজিদের কাছে বিস্ফোরক ঠাসা মোটরসাইকেলে বিস্ফোরণ হয়। ৬ জন মারা যান, শতাধিক জখম হন।
সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়ে, ভোপাল থেকে তাদের প্রার্থী হয়ে প্রজ্ঞা মন্তব্য করেন, মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে হেফাজতে তাঁর ওপর ‘নির্যাতন করায়’ তিনি অভিশাপ দেওয়ার জন্যই ২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাসের সময় নিহত হয়েছিলেন মুম্বই সন্ত্রাস দমন স্কোয়াডের (এটিএস) প্রধান হেমন্ত কারকারে। প্রবল সমালোচনার পর অবশ্য মন্তব্য ফিরিয়ে নেন তিনি। তবে তারপরও অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ গ্রহণের জন্য তিনি গর্বিত বলে ঘোষণা করেন প্রজ্ঞা। এজন্য তাঁকে শো কজ নোটিস ধরিয়েছে কমিশন।
সোমবার কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ অবশ্য স্বাধ্বীর বিরুদ্ধে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় ওঠা অভিযোগ মিথ্যা, আসল অপরাধীরা আইনের নাগাল এড়িয়ে পালিয়েছে বলে দাবি করে তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন।