হুগলি : পঞ্চম দফার লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে একের পর এক সভা। আর সভামঞ্চ থেকে লাগাতার তৃণমূল কংগ্রেস ও তার নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নাগাড়ে নিশানা করে যাচ্ছেন অমিত শাহ। এদিনও তাঁর আক্রমণ থেকে বাদ গেল না মমতা। এদিন হুগলির মশাটের সভা থেকে সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ শানালেন শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'হীরক রানি' বলে উল্লেখও করলেন। Lok Sabha Election 2024


শাহ বলেন, " সত্যজিৎ রায় খুব বড় শিল্পী ছিলেন। চলচ্চিত্র শিল্পী ছিলেন। উনি একটি সিনেমা করেছিলেন 'হীরক রাজার দেশে।' খুবই বিখ্যাত সিনেমা ছিল। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন এল তখন সত্যজিৎদা ছিলেন না। নাহলে 'হীরক রাজার দেশে'-র জায়গায় 'হীরক রানি' নামের সিনেমা করতেন। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'হীরক রানি।' হিংসা, দুর্নীতি, তোষণ...যে বাংলা বন্দে মাতরম দিয়েছে, যে বাংলা জন গণ মন দিয়েছে, যে বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে, সেই বাংলা থেকে দেশভক্তি শেষ করার কাজ কমিউনিস্ট ও তৃণমূল কংগ্রেস করেছে।"


এদিনও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান ও ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গ। শাহ বলেন, শ্রীরামপুরবাসী বলুন, "এরা রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠায় কেন যাননি ? কারণ ভোটব্যাঙ্ককে ভয় পান। ওঁদের কে ভোট ব্যাঙ্ক? অনুপ্রবেশকারীরাই ওঁদের ভোট ব্যাঙ্ক। অনুপ্রবেশকারীদের ভয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠায় যাননি, তাঁদের ভোট দেওয়া উচিত কি ? এরা দেশের পরম্পরাকে মানে না।" 


৩৭০ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "মমতা বলেন ৩৭০ ধারা সরাবেন না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন? বললেন, রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। এটা মোদি সরকার। রক্তগঙ্গা তো দূর, কেউ একটা পাথরও ছুঁড়তে পারেনি। মোদি ৩৭০ সরিয়ে কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। এখান থেকে বলছি, রাহুল বাবা, মমতা দিদি আপনারা ভয় পান। পাক কাশ্মীর ভারতের এবং ওটা আমরা নিয়ে ছাড়ব।  "


সুর চড়ান CAA প্রসঙ্গেও। শাহ বলেন, "নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত কি না, এই নিয়ে মমতা দিদি বিরোধ করেন। অনুপ্রবেশকারীদের ওঁর পছন্দ, লাল কার্পেট বিছিয়ে দেন। আজ মমতাদিদিকে বলে যাচ্ছি, আপনি ও ভাইপো যত জোর আছে লাগিয়ে দিন, আমরা শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেব।" 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।