সোমনাথ মিত্র, হুগলি: একদিকে দোল উৎসব। আরেক দিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার। তাই বসন্ত উৎসবের আবহেই ভোটপ্রচারও চলছে রমরমিয়ে। এমনই ছবি দেখা গেল হুগলির আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে। দোল পূর্ণিমার দিনে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠে গেলেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ। 


দোল পূর্ণিমার বিশেষ দিনে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবকে প্রণাম করেন তিনি। মঠের মহারাজকে প্রণাম করেন তিনি। মানুষের সাথে জনসংযোগও সারেন মিতালি বাগ। সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে দোল খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল প্রার্থী। মিতালী বাগ বলেন, 'আজকের দিনের আনন্দ যেন অন্যের দুঃখের কারণ না হয় তা আমাদের দেখতে হবে। এখানে আজ এসে ঠাকুর প্রণাম করলাম। ভাল লাগছে।'


দোলের দিন সব রং মিলে-মিশে একাকার। লোকসভা ভোটের প্রচার সারার ফাঁকে দোলের উৎসবে সামিল হয়েছেন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও। 


প্রতাপাদিত্য় রোডে নিজের পাড়ায় কচি-কাঁচাদের সঙ্গে দোল খেলায় মাতলেন কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দোলের দিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিঁধলেন তৃণমূল প্রার্থী। বললেন, 'দেবশ্রী চৌধুরী ২ বারের সাংসদ হয়েও শুনেছি এলাকায় সময় দেননি। ফলে নিজের পুরনো কেন্দ্রে জয় নিয়ে কার্যত নিশ্চিত মালা রায়।'


প্রতিবারই দোলের দিন রঙিন হয়ে ওঠেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এদিনও বালিগঞ্জের সমাজসেবী ক্লাবে গিয়ে রঙের উৎসবে মাতলেন মন্ত্রী। ফুচকা খেলেন, গান গাইলেন, নাচলেনও মন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'বয়সটা কোনও ফ্যাক্টর নয়। রঙের উৎসবে রাজনীতি নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।'


দোল উৎসবে মাতলেন সজল ঘোষ। রঙের উৎসবের দিনে কোনও রাজনীতির রং নেই বলে জানালেন। তবে তাঁর সঙ্গেই মনে করিয়ে দিলেন, 'আমরা সবাই তাপস রায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোই লক্ষ্য।'


দোলের দিন রং খেলে জনসংযোগে যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁর মন্তব্য, 'দেশটাকে যারা একই রং দিয়ে, একমাত্রিক করে দিতে চাইছে, বসন্ত উৎসবের দিনে নানা রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তাদের বার্তা দিতে চাইছি।'


সন্তোষপুরের জোড়া ব্রিজ এলাকায়, ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের প্রচার করলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। সঙ্গে ছিল আদিবাসী নাচ, বাউল গান-সহ বর্ণময় শোভাযাত্রা। প্রচারের ফাঁকেই খেললেন দোল।


সুকিয়া স্ট্রিটে নিজের পাড়ায় দোল উৎসবে মেতেছেন কুণাল ঘোষ।  কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সকলের সঙ্গে মিলে আবির খেললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। যোগ দিলেন প্রভাত ফেরিতে। পাড়া ক্রিকেটও খেললেন কুণাল। 


তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। নতুন দল তাঁকে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীও করেছে। এবারও দোল খেলেছেন তিনি। বললেন, 'রঙের রাজনীতি চলুক, রঙবাজি নয়। কেউ যদি সবুজ রং মাখান জানব তিনি আমাকে গ্রহণ করেছেন বলেই নিজের প্রিয় রঙে রাঙিয়ে দিয়েছেন। উত্তর কলকাতায় দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন করবেন ভোটাররা। আর বরানগর বিধানসভায় দল যাঁকেই প্রার্থী করুক, তাঁর হয়ে প্রচার করব।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: 'বিয়ের উপহার হোক মোদির জন্য ভোট'...কার্ডে অনুরোধ পাত্রের বাবার