করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় সরকারি গেস্ট হাউসে তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠক ঘিরে বিতর্ক। বিধিভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল বিজেপি।  ভোট ঘোষণার পর কীভাবে শাসকদল সরকারি গেস্ট হাউস ব্যবহার করল? এই প্রশ্ন তুলে আব্দুর রহিম বক্সীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। 


সরকারি গেস্ট হাউসে তৃণমূলের নির্বাচনী রণকৌশল বৈঠক নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের বিজেপির।জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার মালদা জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠক করেন মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। বৈঠকে হাজির ছিলেন মালদা উত্তরের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মালদা দক্ষিণের প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান। সরকারি গেস্ট হাউসে বৈঠকের কথা কার্যত স্বীকার করে নেন জেলা তৃণমূল সভাপতি যদিও নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের বিষয়টি মানতে নারাজ তিনি।তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই বৈঠক হয়েছে।            


বৃহস্পতিবার মালদা জেলা পরিষদের গেস্ট হাউস বিনয় সরকার অতিথি আবাসে তৃণমূলের রণকৌশল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, তৃণমূল কংগ্রেসের ২ প্রার্থী ও নির্বাচন কমিটির সদস্যরা। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর সরকারি আবাসনে দলীয় বৈঠক নিয়ে আপত্তি বিজেপির।  এবারে সরকারি গেস্ট হাউসে বৈঠক করা নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন উত্তর মালদা বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বৈঠকের কথা কার্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। যদিও তার বক্তব্য নির্দিষ্ট অনুমতি নিয়েই এই বৈঠক করা হয়েছে। তবে কার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হল সেই বিষয়টি তিনি নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলেননি।


আরও পড়ুন, BJP-র বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্য়বহারের অভিযোগে কমিশনে TMC


 লোকসভা ভোটের মুখে প্রতি মুহূর্তেই বিপক্ষের দলের দিকে কড়া নজর গেরুয়াশিবিরের। এদিকে এমনই একমুহূর্তে উলটপূরাণ। বারাসাতে  অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়াশিবিরে। এবার বারাসাতের দলীয় প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেন বিজেপি কর্মীরাই। তাদের অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনে হলফনামায় অসমে মাদক পাচার সংক্রান্ত মামলায় তথ্য গোপন করেছিলেন স্বপন মজুমদার। এমনকী নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সম্পত্তি নিয়ে সঠিক তথ্য দেননি বিজেপি প্রার্থী।  যদিও, বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের পাল্টা দাবি, নেপথ্যে তৃণমূলের চক্রান্ত, এরা বিজেপির কেউ নয়।