মালদা: হাতে বেশি নগদ রাখেন না। কেনা নেই কৃষিজমি বা বাড়ি। টাকা রাখেন ব্যাঙ্কে, শেয়ারে। সব মিলিয়ে মালদা দক্ষিণের  কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীর সম্পত্তির পরিমাণ কত? আজকের আয়-ব্যয়ে দেখে নেব সেই খতিয়ান।


তিনি গনি খান চৌধুরীর ভাইপো। আবু হাসেম খান চৌধুরীর ছেলে, প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক। এবার মালদা দক্ষিণ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী। গত ১২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
 
মনোনয়নের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা আকারে হিসেব দিয়েছেন নিজের সম্পত্তির। আয়ের উৎস হিসেবে জানিয়েছেন পারিবারিক ব্যবসার কথা। হলফনামা অনুযায়ী, ২২-২৩ আর্থিক বছরে ঈশা খান চৌধুরী আয় করেছেন, মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫৯০ টাকা। সেখানে ওই বছরে তাঁর স্ত্রী সৈয়দা সালেহা নেহার নুর আয় করেছেন, ১৮ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৩০ টাকা। 


মনোনয়ন পেশের সময় কংগ্রেস প্রার্থীর হাতে নগদ ছিল ৩৫ হাজার টাকা। স্ত্রীর হাতে নগদ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কে প্রার্থীর নামে জমা আছে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৫৫৬ টাকা৷  স্ত্রীর নামে আছে ১ কোটি ৭৩ হাজার ৬৭৮ টাকা। শেয়ারে কংগ্রেস প্রার্থীর লগ্নি আছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। প্রার্থীর স্ত্রীর নামেও শেযার আছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার।                         


আরও পড়ুন, মালদা দক্ষিণে কি ফুটবে পদ্ম? না কি চৌধুরী পরিবারের 'হাতে' থাকবে ক্ষমতা?


এছাড়া স্বামী-স্ত্রীর নামে আছে মোটা অঙ্কের জীবনবিমা। কংগ্রেস প্রার্থীর স্ত্রীর নামে আছে একটি গাড়ি। যার বর্তমান মূল্য ১০ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৪৪ টাকা। প্রার্থীর স্ত্রীর নামে থাকা সোনার অলঙ্কারের দাম ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ঈশা খান চৌধুরীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৫৬ টাকা। তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ২৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১২ টাকার। 


শুধু অস্থাবর সম্পত্তিই নয়, হলফনামায় স্থাবর সম্পত্তিরও হিসেব দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর এবং স্ত্রীর নামে কোনও কৃষিজমি বা বাড়ি নেই। আছে অকৃষি জমি। যার বর্তমান মূল্য ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে দম্পতির মোট সম্পত্তির পরিমাণ, ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ১০ হাজার ৩৬৮ টাকা।


হলফনামায় কংগ্রেস প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁর নামে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে